থাকনা পড়ে ঐ রজনী গন্ধা
কালোকেশী চুলের গহ্বরে,
আকাশ জুড়ে নীল শাড়িতে
মায়াবতীর মমতার অন্তরে।


অঙ্গদে তার শ্যামের আলো
কাজল কালো আঁখি চাউনি,
টিয়ে পাখি ঠোঁট রাঙ্গিয়েছে
অপরূপ চন্দ্রাবতী রূপসিনী।


দেহের গগণধারা চম্পাকলি
শুভ্র হাসি ঐ কোমল অধরে,
লাজুক মেয়ের লাজুক লতা
লজ্জায়  মুখ লুকায়  চাদরে।


পুকুর পাড়ে কে যেন তারে
চুপিচুপি আড়াল করে দেখে,
আজ আঁচ করেছে কেউ যে
তাকে মনের  কোণে রাখে।


দূর থেকে বেশ সুবাস আসে
মনের  মাঝে  অচেনা পরশ,
নিজের  সাথে  নিজের কথন
প্রেমাজ্বরে সইছে'না যে তরশ।


দেখা হল লুকোচুরি মানব সনে
তার পরশে মাখা প্রেম ছোঁয়া,
দক্ষিণ  হাওয়ায় মনের ভিটায়
একটু একটু করে কাছে যাওয়া।


প্রেমিক মনে বড আবেগ ক্ষণে
যেতে চায় ভালোবাসার বাসরে
চন্দ্রাবতী বাধা দেয়  বুদ্ধিমত্তায়
অপেক্ষায় শুভ পরিণয় আসরে।


আবেগ প্রেম আছে বৈকি তার
তবে তা ভুল করে নয় জীবনে,
সঁপিবে যারে তার জীবন যৌবন
নিয়ম রেখে সংসারের মৌ'বনে।


বাঁচতে হলে বুঝতে হবে জীবনে
মন টা যে সাদা নরম কাঁদামাটি,
যেথায়  সাজাবে ফুলের বাগান
আগে দেখবে সেটা কি পরিপাটি।


রচনাকাল
১০।০৬।২০১৪
ইউ এই