.  ওগো শ্রেয়সী আমার প্রাণের প্রেয়সী
হাসি মুখে লাজে  বাঁধা কেন তোমার ঐ ঠোঁট,
আমি প্রাণে মরে যাই যেন সেই রূপের ঝলকে
  লাল টুকটুকে কমলা  কোষের বোট।


    বুটিকা পড়া  শাড়ির আঁচল তোমার
থরেথরে উঁকি দেয় সেই দারুণ দেহের গড়ন,
আকাশে নীল চাদরে ঢেকে আছে বিশ্ব জগত
    তোমার চোখের ইশারায় যেন ত্বরন।


    ত্বরনের উচ্ছ্বাস স্রোত তোমার অধরে
স্বপ্নরুদ্ধ করে চলে কম্পনে কম্পিত আমার মন,
অন্তর্যামী জানেন এত হাসি কোথায় পেলে তুমি
   স্পর্শমণি খুশির সমুদ্রে ভাসি সারাক্ষণ।


   সারাক্ষণ ঐ অধরের শিশির জলে দেখি,
তোমার চোখ মুখে স্বরা অনাবিল পরশে অবিরল,
সংস্পর্শের  বানে  ভেসে যাই  সুখের  তরী বেয়ে
    প্রেমের  বৈঠা হাতে বেয়ে যাই তনুরল।


   তনুরল সোনা তোমার ভেজা অধরে দেখি
চিকচিকে পরা ঐ প্রভাতে রবির আলোর  কিরণ,
আমি সেই কিরণের আলোয় রোদ পোহাবো বসে
    কোমল মনে দারুণ সুখ তোলে শিহরণ।


    শিহরিত হই তোমার ছোঁয়ার পরশপলে
কামিনী যামিনী ফুলের সুবাসে ভরে উঠে এই প্রাণ,
বহু বাসনায় মনের মণিপুরে যতনে পেয়েছি তোমায়
     ভালোবাসায় রাখি, রেখো সেই মান।


রচনাকাল
১৫।১০।২০১৪
ইউ এ ই।