যে দিন আমার চলে যাওয়ার ঘন্টা বাজবে হায় !!
কোন বাধা মানবে না কোন কথা শুনবে না আমি নিরুপায়।
বুকের পাঁজরে ধক ধক করবে,এই বুঝি নিথর হলাম,
মানব জীবনে জন্ম নিয়ে কি পেয়ে,কি দিয়ে গেলাম?
যে দিন আমার চলে যাবার পালা,মায়ের বুকে কত জ্বালা,
বউ কাঁদবে শূন্য ঘরে বসে, ছিঁড়ে  নিবে তার কণ্ঠের মালা।
পাড়া প্রতিবেশী কেঁদে কেঁদে ভুলে যাবে হয়তো কিছুদিন পর,
মা বক্ষে রাখবেন কোমল স্নেহে,বউ বিধবা হয়ে রবে জনমভর।
এক জনমে সাধ হয় না পূরণ চাইবো ফিরে ফিরে আসি,
মানব জীবন বড় ভাগ্যের ত্বরণ তাই তো ভালোবাসি।
যে ভালোবাসায় আমার সন্তান কাঁদবে কষ্টের করুণ সুরে,
তখন হয়তো আমি ঐ আকাশে,তাঁদের কাছে থেকে ও দূরে।
আমার কবিতারা যত, অনাথ হবে পাবে না পিতার স্নেহ,
জানি না চলে যাওয়ার পর তাদের মনে রাখবে কিনা আদর করবে কেহ।
আদর করে শুয়ে দিবে চন্দন কাঠে এবং আম কাষ্ঠের ঘরে,
ধূপের শুভ্রতায় ধোঁয়ায় ভরিয়ে দিবে পুড়ে যাবো সারে সারে।
দাউ দাউ করে জ্বলবে অনল,আমি জ্বলে হবো কালো ছাই,
অন্তর্যামীর বুঝি হবে না দয়া,মানব জনম আবার পেতে চাই।


রচনাকাল
২৩।১০।২০১৪
ইউ এ ই ।   একটি জীবনমুখী  কবিতা।
https://www.youtube.com/watch?v=Y7d0eY3xd18