সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলছে ওরে ঐ দিগন্তে দাঁড়ায় কে'রে ?
হাট বসেছে আমার ঘরে,আয় না ফিরে খুশির ধারে।
             বিয়ের কনে সাজ সেজেছে
              মায়াময়ী ঐ রূপ এনেছে,
এদিক ও দিক ছুটছে সবায় বিয়ের কনের চারিধারে,
খালি মুখে  যেও না পথিক অচেনা এই রং বাজারে।


পথিক বসে সোফা'র তরে, এদিক সেদিক চুপিসারে,
আঁড় চোখে তাকায় ক্যা'রে খেয়াল নেই কারো তরে।
             সামনে খাবারের ছড়াছড়ি
              মনের সাথে কি দরাদরি,
যে খেয়ালে এলো পথিক , সিন্ধু সেঁচে ঐ বীর ডুবুরী,
আঁকুপাঁকু করছে যে মন হাশিল হবে সেই ছলচাতুরী!


রাত্রি যখন গভীর হলো,বিয়ের কন্যা গায়ে হলুদ নিল,
দিন বদলের পালাক্রমে স্বামী সোহাগের ঠিকানা পেল।
              পান পাতা টা মুখে তুলে
            গোলাপ ফুটেছে খোঁপা চুলে,
সেই গোলাপে কার পরশ পেলো,পিস্তল দেখে চমকালো,
এদিকওদিক ছুটছে সবায় এক রাউন্ডে বাড়ি থমকে গেল।


পথিক কয়েক জনের দল এনেছে অলংকার লুটে নিয়েছে,
শুকনো নিশ্বাস  ভরাতুর কান্নায় বর ভূতলে লুটে পড়েছে।
               ভেসে যাচ্ছে রক্ত স্রোতে
               কন্যা নেমেছে কঠিন ব্রতে,
প্রতিশোধ নিবে এই মজলিসে ঝাঁপিয়ে পড়লো পথিক পানে,
নিভলো গ্রীসের সূর্য-বাতি কন্যার প্রাণে,ভূমি পাটি অস্ত বানে।


মেঘ-জননীর অশ্রুধারা ঝ’রছে কান্নার জলের শূন্য সর্বহারা,
অচেনা লোকের কথার আঁটি না জেনে কদর পোড়ামাটি ধারা
                কেঁদে ভাসে শাঙন-রাতি
                ফিরে গেলো সব বরাতি,
ভুল করো না নায়ের মাঝি!!অচেনা লোকের  দুষ্ট কারসাজি,
যে ঘাটে ভীড়াবে নৌকা সেখানে নয় তো ধোকা কুরঙ্গপাজি!!


রচনাকাল
০৫।১১।২০১৪
ইউ এ ই।


বিঃদ্রঃ-কবিতাটি অনেক বড় বলে দয়া করে কেউ আঁতকে উঠবেন না।অনুরোধ থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য।এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।এর থেকে পরিত্রাণ আমরা কি করে পেতে পারি ? ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।