আমি তাহারে বাসিয়াছি ভালো বৃন্দাবনে,দর্শন তব বহু দূরে,
পায়ের নূপুর যখন বাজিয়াছে কানে মধুর গান গাহিয়াছে সুরে।
যে সুরে বক্ষ ভেদিয়া পরান নাচাইয়া ছিঁড়িয়া লইলো তাজ,
আমি তাহারি পিছু ছুটিতে লাগিলাম অদ্য সকাল সন্ধ্যা রাজ।


সাধ ছিলো মনে বলিবো ক্ষণে ভাসিবো যুগলপ্রেমের স্রোতে,
মিলনমধুর লাজে ললাট দেখিবো নামিলাম অধ্যাবসায় ব্রতে।
এত খুঁজিলাম নাহি পাইলাম শুধু বহিতেছে মনে নূপুরের সুর,
স্পর্শমণির মনে দোলা দিয়া যায়,হৃদয় মিলন উৎসবে প্রচুর।


কোন এক সন্ধ্যায় হঠাত্ দেখিলাম নিখিলের রূপের শাড়িতে,
শুধু আঁচল খানি জড়াইয়া রাখিয়াছে বক্ষে উজ্জ্বল দেহ তরীতে।
আমি কি দেখিলাম হায় যেন প্রাণে মরিয়া যাই ধ্রুবতারা বেশে,
ঘনকালো চুল খোলা কানে দুল,চিকচিক করিতেছে তাহার কেশে।


তাহার আঁখি পানে আঁখি রাখিলাম একি!!কহিতেছে মনের কথা,
মনে পুষিয়াছি যাহা,যেন আমি তার রসিয়া আহা,মনের মিলন সেথা।
রবি অস্তাচলে মন মস্ত বলে হাঁটিতেছি  ধীরে নদীতীরে দু'জনে,
মুগ্ধ তাহার মুখের বুলিতে,ভাগ্যে ক্ষণিকেই কাক ডাকিলো কু'জনে।


ধেয়ে এলো জল সুনামী করিলো ছল টানিয়া লইয়া গেলো তাহারে,
আমি খুঁড়িয়া বালুকারাশি কষ্টের মাদুলি কাঁছি মারিতেছি আমারে।
আমি যাহারে বাসিয়াছি ভালো নিভাইলো তাহার আলো ঐ সাগরে,
কঠিন প্রেমের ব্যথা দগ্ধ যেন মাথা,নদীতীরে দেখিবে কোন পাগলরে।


রচনাকাল
২০।১১।২০১৪
ইউ এ ই।