বর্ণার বরণে চন্দ্রিমা স্মরণে
খুঁজছে পাত্র দেখে শুনে গোত্র,
লিকলিকে লম্বা যেন ঐ রম্বা
জুঁইফুলী বৃষ্টি স্রষ্টার সৃষ্টি
মুখ টা মিষ্টি দেখে যেন তুষ্টি
এমনি বেশ টি খুঁজে পেলে বর'টি
তুলে দিবে হাত টি,
                       -অতি আদরে।
যে ঘরে ননদ নেই,জ্বালানোর সনদ কই?
বড় ঘরে বড় ছেলে,বড় বউ হয়ে গেলে,
উতরোল সিন্ধু ,তুষারহীন বিন্দু
শিশিরের ঝিরঝরি,আয়ত্বে তড়িঘরি
হবে না তো মন্দ, যদি হয় দ্বন্দ্ব
ক্ষমতার বলে,সোজা কথার ছলে
ঝর্ণার ধারা,পুরো বাড়ি সারা,
                    -লুপে নিবে সাদরে।
মনে শত যুক্তি,এক'টাই উক্তি,
গৈরিকে স্বর্ণে,বর হবে,ধনে,বর্ণে  
শত ছেলে এলো,হাসির খোরাক হলো,
শ্যামলিয়া পরশে,স্বপ্নের তরশে
রূপের আগুনে,চাহিদা দ্বিগুনে,
কথার তো ঝুলি, যেন কবুতরের বুলি,
মনের আকাশে,অহং সরসে,
                     -স্বপ্ন দেখে যেন পাথরে।
ধূসরের ঊষর ভূমি,লোভের পতন চুমি,
চাঁদ ঘরে রঙ্গে,আজ আঁধারের সঙ্গে,
ধূলা-ভরা জীবন,কঠিন সময় এখন
যা ভাবেনি তখন,শুকাবে মৌবন ,
বয়সের ভারে,ঘাস কাটে ধারে,
যৌবনের ভাটা, যেন তার কাটা,
বিয়ের আসন,হয়নি পাতা এখনো,
                 বয়স বর্ণার সাতান্নের কাতারে।


স্বর্গ মর্ত্য পাতালে,সময়ে কাজ কর সকলে,
অস্ত রবি পটে যাবে বেলা,
        আলোর শেষে আঁধারের খেলা
এই কথা স্নরণ রেখে  সদা মনের দখলে ।


রচনাকাল
২২।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।