সন্ধ্যার্চনা করি উপসনায়,বাংলাসূর্য যাচ্ছে অস্ত,
চারিদিকে চলে ঈর্ষা বিষময়ী যে যার মত ব্যস্ত।
লক্ষ তৃণে বক্ষ লীনে সৌভ্রাত্রবন্ধনে সংখ্যা অল্প,
যদি গাই জীবনের গান অনন্ত,শেষ হবে না গল্প।  
ক্ষুদ্র নয় তো কোন মানুষ ,ভেদাভেদ কেন সাম্য
চন্দ্রলেখা লিখেছেন ঐ স্রষ্টা, নির্ভর বন্ধন কাম্য ।
সবায় ঐশ্বর্যের পিছে ছুটছে আজ রাজধর্মে ধর্ম নাই,
পিছপা হয় না মস্তক ছেদনে,বঙ্গবাসী নিরুপায়।
শাসনদৃষ্টি আজ শোষণপুষ্টি গরীবের যত জ্বালা,
ঘরে ভাত নেই পেটের তাগিদে ধিক্কারের তালা।
দুর্যোধন পাপীরা আজ বাংলা ছেঁয়ে গেছে, অকাল,
প্রজা,প্রতিবেশীর উন্মুখ আজি সুন্দর এক সকাল।
নির্বাসন আজ অন্তরের সুখ হৃদয়দুর্গে অসীম কষ্ট,
কথায় কথায় পাখি মারা মারে জীবন হচ্ছে নষ্ট ।
যে চঞ্চল মেয়েটি গাঁয়ে মেঠোপথে করতো ছুটাছুটি,
আজ সেখানে ও যেন ওঁত পেতে আছে নষ্ট দ্রুটি ।
চেতনা দ্বারে আলিঙ্গন করো, ন্যায় ধর্ম বন্ধু ভ্রাতা,
সবার উপরে মানুষ সত্য যুগে যুগে মানব মনে গাঁথা।
যে সন্ধ্যার্চনা আসে কল্যাণ ভেদে আযানের সূর বাণী,
দীনবেশে সজল নয়নে তাকাও,খুলি সুখের চাবিখানী।


রচনাকাল
২৫।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।