ঐ পাহাড়ের বাগান ঘেঁষে,পাহাড়ি মেয়ে যায় যে হেসে
               মনে তার আকুল ব্যাকুল ধারা,
পাখির মুখে গান শুনে হায়,গভীর অরণ্যে প্রায় নেচে যায়
                 প্রাণে তার গীতোচ্ছ্বাসে ভরা।


বসন্তের যে বাতাস গায়ে মাখে,যৌবনে টানে প্রাণের শাখে
               যেন সে স্রষ্টার সৃষ্টি এক নারী,
অতুল রূপের প্রতিধ্বনি, অঙ্গদে সৌরভে খেলে মুক্তাবেণী
             আঁখি যেন পাহাড়ি বনের বাড়ি।


জগতের নিয়মে বিয়ের পটে,মানব মনের মধুর সমাজ তটে
                সংসার সাজে শহরের মন,
সেই শহরের রুদ্ধ খাঁচায়,স্বর্ণময় মেঘমাঝে রশি বদ্ধ মাঁচায়
              বড় কষ্ট যাতনায় কাটে প্রতিক্ষণ।


প্রভাতের মধুর স্মৃতিগুলি,কোলাহলে ঘুম ভাঙ্গায় কাক বুলবুলি
               শহরে আধুনিকতায় শঙ্কিত মন,
বিচিত্র সৌন্দর্য জগতের আশে,হাত বুলাতে চাই শিশির ঘাসে
              উদাসী পাহাড়ি কন্যা প্রতিক্ষণ।


জোছনায় ফুলবনে একাকী বসে,বড় চঞ্চল জীবনের হিসেব কষে
             গাইতে চায় আলো আঁধারে গান,
যে গানে যেমন সুর আসে,নিয়তির খেলা করায় বিধি ভাগ্যকাশে
            জীবন যুদ্ধে মর্মর মানব,মানবী প্রাণ।


রচনাকাল
৩০।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।