ওরা বীর ওরা মুক্তিযোদ্ধা,
দুর্বার দুর্জয় ন্যায়ের সৈনিক গর্জে উঠার শক্তি বাংলার কথা।
সেই দিন গৃহযুদ্ধের ঝড় বয়ে গিয়েছিল বাংলার আকাশ বাতাসে,
প্রতিজ্ঞায় নির্ভয়ে কাঁপিয়ে দিলে অত্যাচারীদের মর্মরধ্বনির আরশে।


যারা এসেছিল ত্রাস করতে সোনার বাংলায় ক্ষমিলেনা কভু,
বাংলার বুকে কত বীর বীরঙ্গনা বঙ্গমাতা সম্ভ্রম হারিয়ে কাবু।


ওরা হায়নার জাত,ওদের শিক্ষার অভাব,ছিলো মনুষ্যত্বহীন মানব,
কু'শিক্ষায় তারা কু'দীক্ষায় তারা,হয়ে উঠেছিলো ভয়ঙ্কর সব দানব।
যে  নববধু বড় সাধ করে এলো সংসার সাজাতে, বাসর করলো তারা,
জীবনের ময়দানে মৌন মহাসমুদ্রে প্লাবণ উঠেছিল আত্মবিসর্জন পারা।।


পাক বাহিনীর তান্ডবে বাংলার বুকে কেঁপে ছিলো অন্ত্বঃস্বত্বা মায়ের বুক,
প্রসব করিয়ে দিলো অকাল ঘন বরষায় ছেঁয়ে গেলো কালো আঁধারে মুখ।
তোমরা বাংলার দামাল,সালাম,জব্বার কামাল,কত সব মাঝি মাল্লার দল,
লাঠি তুলে নিলে উদ্দাম উচ্ছ্বাসে আঘাতে আঘাতে ভেঙে দিলে তাদের খল।


উজ্জ্বল রোদ্দুরে যারা সুবিধাভোগী বাংলার কুসন্তান স্পর্শে পাক মেঘের দলে,
বিয়াল্লিশ বছর পর তাদের ফাঁসির মঞ্চে দেখে,মন আনন্দে নাচে প্রতি পলে।
ওরে সব বিপ্লবী বীর যোদ্ধারা,দেখে যা তোরা,ব্যয়মানের হচ্ছে বাংলায় ফাঁসি,
যে জাতীর বিজয় নিশান তুলে দিয়ে গেলো,কামার কুমার,তাঁতী,বীরঙ্গনা মাসি।


অরণ্যপর্বতে ছিলো তোমাদের ঘাঁটি বাংলার মাটি খাঁটি তোমরা বীর সন্তান,
নয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বিধবা মায়ের সন্তান ফিরেনি ঘরে,বাঁচালে বাংলার প্রাণ।
যেই স্বাধীনতা আজ বাংলার তরুপল্লবে শাখায় শাখায় হে রাজনৈতিক নেতাগণ,
ছারখার করো না ক্ষমতা লোভের বশে,সেই সব বীর বিক্রম মুক্তিযোদ্ধাদের মন।


রচনাকাল
০৬।১২।২০১৪
ইউ এ ই ।