আজ যেই নদীতে জল সেইদিন সেই নদীতে খলখল,
ঘাঁটি করেছিলো যারা পাক সেনা ওরা তারা অবিরল।
তর্জনের গর্জনে ওরা ছিলো সব খানে কামানের ঝন্‌ঝন,
ধোঁয়া উড়ে আকাশে শুভ্র মেঘ ফ্যাকাসে শীতে কনকন।


স্বপ্নের সবুজ ছোঁয়া মাটি,মায়ের মত খাঁটি এই সেই বঙ্গ,
গাঁয়ের পল্লীবালা,তুলে নিতো মধুমালা,করতো রাতরঙ্গ।
সুতাহীন শত নারী নাচাতো ভরা তরী যেন অমানব দানব,
আকাশে জাগাতো ঝড় বোমা বুলেটের তড় লংকা মানব।


পাক সেনার অত্যাচারে নববধুর অভিসারে ফুটালো ফুল,
আত্মবিসর্জন দিলো জীবনে সে কি পেল কান্না কন্ঠ আকুল।
বিধবার ঘরে অত্যাচারীর রুদ্ধ কারাগারে সাজাতো কত সং
বিবেক স্তব্ধ হয়ে যায় শিকলে মনবতা নিরুপায়,দেখে ঢং।


দিশেহারা বঙ্গ যুবক,তুলে নিলো লাঠি বৈঠা শাবক,যুদ্ধে,
ঐতিহ্য দিয়ে ঘেরা দেশ বাংলাদেশ বাঁচাতে দাঁড়াই,রুদ্ধে।
কুলি মজুর চাষির ডাকে মানবতার  বাঁকে সমন্বয় গঠন,
জন্মভুমি বাংলা তেতুলিয়া থেকে মংলা সবায় জেগে উঠন।


পাখি মেরেছিলো যেন,শত প্রশ্ন কেন? মিলেনি কোন উত্তর,
গতি বেগতি দেখে মাকে আবাস দিল খোকা ফিরবে সত্ত্বর।
সেই যে চলে গেলো বংলাদেশ স্বাধীন হল,হাহাকারে জননী,
প্রতিক্ষায় বসে বসে জীবনের হিসেব কষে থেমে গেল তরণী।


রচনাকাল
০৯।১২।২০১৪
ইউ এ ই ।