বৃদ্ধ শ্বেতকেশ পোড়ে,শীতের আদরে,
কে দিবো তাঁরে হায়!! ঢাকবে চাদরে।
তাঁর যে বসন্তযৌবন হয়ে গালো পার
সময়ের ব্যবধানে সকল  যেন অসার।


আজি একলা ঘরে, মোম দীপ জ্বালে,
অপূর্ণ স্বপন সব আশা দাউ দাউ পলে।
পূর্ণ আত্মা খুঁজেন সদা প্রিয়তমার মাঝে,
তিনি ও চলে গেলেন কোন এক সাঝে।


হৃদয় ভেঙে ভেঙে খেলে,ছলনার খেলা,
কখন ঘটবে প্রলয়, ভেসে যাবে  বেলা।
কখন আসবে ফিরে, যারা গেছে  ছেড়ে,
যেখানে স্বপ্ন দেখেছেন,নিলো সব কেড়ে।


বরষার বানে,মাঘের শানে,নিলোনা খবর,
ভেসেছে জল কাঁপছে পল, জীবন্ত কবর।
আজি বৃদ্ধ বৃক্ষের ক্ষণ,যেন হৃদে উঠে ঝড় ,
নিজের হাতে মানুষ,সদ্য গোলাপ সব পর।


মেয়ের নূপুরের রিনিঝিনি,বরের ছিনিমিনি,
খেলেছে খেলা যৌবনবালা বড্ড অভিমানি।
ছেলের সুখ বিলাসী মন,শ্বশুরাল সারাক্ষণ,
আশ্রয়-আলয় ছেড়ে চলে গেছে সেই কখন!


আজ বৃদ্ধার গম্ভীর চিন্তা গাঁথা,মনে শত ব্যাথা,
কখন পুড়াবে তেল,জীবনে খেল,থাকবে তথা।
সবাইএকদিন হবো বৃদ্ধ,জীবনের সাথে  যুদ্ধ,
আবেদন করি হুজুগের কবি,জীবনকে কর শুদ্ধ ।


রচনাকাল
১৩।১২।২০১৪
ইউ এ ই ।