আজো থামেনি সেই মায়ের কান্না,
শেষ বিকালের উঠানে,আলোর অন্ধকারের বার্তা,
কম্পিত শহরে,নগরে পোড়া বারুদের গন্ধে একাকার
স্বপ্নের কুসুমকলি যেন,গৃহকোণে বন্দি বিলাস
                                        দেশ যে নির্বাসিত !!
থেমে ছিলো না ওরা,
পূর্বদিকে রবির আলোর ফসল বুনছে,তাকালে মনে হতো
ছোট্ট একটি ঘর তার উপর উড়ছে বাংলার বিজয় নিশান,
বালি মাটিতে স্বপ্নের খুঁটি শক্ত হয় না,তবু শুনি মুখরিত ঐকতান,
                                             বিজয় নিয়ে  ফিরবে খোকা ।


সেই দিন যেই মেয়েটি আলোর মিছিলে
পোষ্টার  হাতে নিয়ে ছুটেছিলো,পরদিন তার হাতে রক্তাক্ত বিবস্ত্র,
হামাগুড়ি দিয়ে গাইছে  স্বাধীনতার গান,ওরা ভয়ঙ্কর,ওরা হায়েনা,
তবু ও দমিয়ে রাখতে পারেনি,সেই সব বাংলার দামাল ছেলেদের
                                                বিজয় নিয়ে ফিরবে ।


বিশ্বের বুকে দুর্ভাগা দেশ,দুর্ভাগা জাতি এই বাংলা
যাদের বুকে আছে শত কষ্টের ক্ষত,স্বজন হারানোর ব্যাথাতুর যন্ত্রণা
বীরঙ্গনার কষ্ট জলের বালি মাটির উপর ঢেউ এর উচ্ছ্বাস প্রতিপলে
যে ছেলে মাকে বলে গিয়েছিলো মা ফিরবো শীগ্রই এখনো সেই মা
                                          অজ্ঞানের অন্ধকারে খোকা আসবে।


যে অন্তঃসত্বা নারীর বুকে ওরা হাল চাষ করেছিলো,
রাতের পর রাত,দিনের পর দিন,সুতাহীন শরীরে অকাল প্রসব করলো
অসময়ের অপুরন্ত ফুল,পাকশিবিরে এক বুলেটে  দ্বিখন্ডিত করেছিলো মস্তক
আজো যেন সেই আত্নচিত্কার করে কেঁদে বেড়ায় ওরা হায়েনা ওরা দানব,
                                         সেই মায়ের মন কেঁদে ভাসে নয়ন জলে।


অরণ্য স্তব্ধ, প্রতীক্ষা-উৎকীর্ণ চারিদিক,
কখন উড়বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কেন টুকরা স্বাধীনতা?
পার্কের মোড়ে, ঘরে, ময়দানে, মাঠে প্রান্তরে শত্রু আজ পরাহত সেই দিন,
১৬ ডিসেম্বর শেষ বিকালের উঠানে,আলোর অন্ধকারের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
                                                    বাংলার স্বাধীনতা চুক্তিসনদ ।


রচনাকাল
১৪।১২।২০১৪
ইউ এ ই ।