যে  জোছনায় ল্যাম্পোষ্টের  আলোয় কেটেছে কত রাত,
  ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে,ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে ক্লান্ত শরীরে প্রভাত।
ঘরের কোণে আঁধার ঘেরা,অভাবে ছেয়ে আছে সংসার,
  অভাগা সুজন কাঁদে নিরজন মানব জীবন যে অসার।


ব্যথার ভারে মনের কষ্ট গুলো সব ধুলায় ধুলায় গড়াগড়ি,
  অনাদরের আঘাতে কাটছে শৈশব, মেধার ছড়াছড়ি।
যে আলোতীরে বৃন্দাবনে একমনে অধ্যবসায় তার শক্তি,
  স্রষ্টা দিয়েছেন যেন সব উজাড় করে কথায় কথায় যুক্তি।


সময়ের টানে দিনবদলে, তার সুনাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে,
পরীক্ষার খাতায় যেন সেই ল্যাম্পোষ্টের প্রভাব ঝরে পড়ে।
নজর কেড়েছে সব মহলে,ভালোবাসার সন্ধ্যা-প্রদীপ ঘরে,
  অভাবে আর নাইকো  চিন্তা থাকবেনা আঁধারের তরে।


গ্রামের লোকেদের চোখের মণি সুজন,সব বিপদে ছুটে চলে
   পাড়ার মোড়ল ভেবে অস্থির কি ভাবে নিবে তাঁর দলে।
কোন এক ঊষার আলো ধরে,মণিপুরে সরকার মন্ত্রীএল ঘরে,
  তাঁকে নিয়ে সাজাতে চায়, সুন্দর মণিপুর এ আশার তরে।


সুজন চমকে উঠে,মুখে ফুল ফোটে,লেগে গেলো দেশের সেবা,
   অভাব কোথায় জনসাধারনের সে ছাড়া জানবে আর কেবা।
দিনের পর দিন রাতের পর রাত কেটে যাচ্ছে দেশ গঠনের তরে,
  বুদ্ধির বলে শত্রু কুপোকাত,মণিপুরে আলোর ঝিলিক ঝরে।


যে চোর করছে চুরি তাকে ধনবান করেছে ভুরি সন্ত্রাস হয়েছে বন্ধু,
গভীর প্রেমে কথার আলোয় খুলে দিয়েছে তাদের মনের সিন্ধু।
যে শত্রু ছিলো মণিপুরের ঘরে ঘরে,আজ তারা হয়ে গেছে প্রিয়জন,
   রাজনীতিতে ও গভীর মেধা লাগে সেই কথা বুঝে কয় জন?


আজ সুজন মণিপুরের সরকার প্রধান অথচ থাকছে সেই ভাঙ্গা ঘরে,
  নিজের জন্য ভাবছে না কিছু ভাবছে সকল জনসাধারনের তরে।
ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই সুখ সেকথা জানে সুজন জীবন যাপনের পটে
  এমনি করে ভাবেন ক'জন সমাজ সংসারে,ক্ষমতা যখন ঘাটে?


রচনাকাল
২১।১২।২০১৪
ইউ এ ই ।