হে ধরনী,
নতুনের কেতন উড়িয়েছ ক্যালেন্ডারের পাতায়,
নতুন সাজে,তোমাকে সুন্দর করে অগ্নি বরিষণ!
তোমার রূপের সুধার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস।


হে জগৎ মাতা ধরণী,তোমার করুণায়  
মনের ছায়াঞ্চলে ভীড় করে বেঁচে থাকার সাধ,
অমৃতের সুধা এই মানব জীবনে করবো পান
তোমার কাঁটা-কুঞ্জে বসে জীবন বীণার শয্যাতলে ।
অট্টালিকা চাই না,ধন সম্পদের আঁচলে জড়াতে চাই না,
পুষ্প-প্রগল্‌ভায় চুম্বনে বিবশ করতে চাই না এই পৃথিবী,
এই নশ্বর দেহ ত্যাগ করতে চাই প্রজাপতি চঞ্চল মনে।


তোমাকে সুন্দর করে রাত্রি কালো আঁধারের রূপ রস প্রাণ,
তোমার রূপের অলংকারে জোনাকিরা লাজে কেঁদে জ্বলে,
তোমার বুকে বিধাতার বুভুক্ষু সুন্দরের দান নয়ন জুড়ায়,
গগণ মাঠে তারা'র মেলায়,আবছা চাঁদের রূপের আলোতে।
শত বছর বাঁচা'র ব্রত নেই,হলুদ-বৃন্তে বসে গন্ধ শুকার কামনা নেই,
এই রূপসী জগতে কিছু দিয়ে চাই,যা আমায় মনে করিয়ে অবিরাম।


রচনাকাল
০১।০১।২০১৫
ইউ এ ই ।