টুনির মা আমাগো ঘরে কাম করে খায়
মাইয়াটির সুন্দর একখান নাম আছে জরিনা
কিন্তু হেতিরে কেউ জরিনা  কয়ে বোলায়না
বেজ্ঞুনে হেতিরে টুনি কইয়া বোলায়!!
টুনির মায়ের মুখে হুইনছি
টুনির বাপ বাসর রাইত কইরা,ফলাইয়াছে  সুখ লইয়া
ঐ রাতের একটু ভালোবাসারর ফসল এই টুনি।
টুনির বেশ নাদুস নুদুস চেহারা
পড়া লেখা কইরতো বেশি হারেনো।
ফুসলাইয়া গেরামের সখিন মুন্সির পুতে
টুনিরে ভাগাইয়া লই গেছে গৈই।
বেচারী জনম দুখী টুনির মা হারা বছর কাইন্দা কাইটা
চোখের নিচে সাগর বানাইয়া ফালাইয়াছে।
হেতির বুকের ছাতি ফাটি জারগৈই।
দিন শেষ হইতেছে  ভোর হইতেছে
একদিন সন্ধ্যায় টুনি ঘরের দরজায় আইয়া হাজির
মা টুনিরে জড়াইয়া কাইন্দা দিল।
টুনি কাইন্দা কাইন্দা কইলো
মারে তোমাগো জামাই টেহা চায়
অনেক টাহা, টাহা না দিলে আমার বোলে হেতে তালাক দিব।
টুনির মা নিজের রাগ  নিভাইয়া মাইয়ার ঘরে বাতি দিল
খাওনের সম্ভল দুধের গায় গরুটারে বেইচা দিয়া।


আজ কয়েক দিন পার হই গেল টুনির মা পেটে দানাপানি পড়ে নাই
জ্বরেরধাক্কা অসুখে গা পুইরা জারগৈই।
ছোট্টখাট্টো খড়ের ঘরে টুনির মা হুশ হারাইলো,আর জাগন অয় নায়।


রচনাকাল
১২।০৫।২০১৫
ইউ এ ই