হে সর্বসহা জননী মৃন্ময়ী অন্তর টা আজ বড্ড জ্বলছে
তুষের আগুনের মত গুমড়ে গুমড়ে লেলিহান শিখা দগ্ধ,
কাল রাত্রে কিছু টা সময় দিয়েছিল মুঠোফোনে,
কষ্টের যন্ত্রণায় তুমি কথা বলতে পারছো না,
আর সেই যন্ত্রণা আমায় বিষ পোঁড়ার মত
বিষাদতার ছোবলে নীল হয়ে যাচ্ছে অন্তরখানি।
মাগো আমায় তুমি ক্ষমা করে দিও তোমার এই
প্রবাসী ছেলে তোমার কষ্টে ভীষন ব্যথিত বৈকি,
টেলিফোনের সান্তনা বিনা কিছুই করতে পারছিনা।
মাগো তুমি তাড়াতাড়ি  সুস্থ  হয়ে উঠো,
তোমার এমন নিদারুণ কষ্ট আমার যে আর সহ্য হচ্ছে না।
হে প্রভু আমার,মাকে একটু শান্তি দাও বিনিময়ে
আমার সুস্থতা কেড়ে নিয়ে তাঁর কষ্ট গুলো আমায়
সঁপে দাও আমি বিন্দু মাত্র  না' করবো না ।
তবু ও মাকে একটু সুস্থ করে দাও
করজোড়ে অনুনয় প্রভু তোমার চরণে।


রচনা
২০।০৩।২০১৪
বিঃদ্র- সুপ্রিয় কবিতা প্রেমী পাঠক /পাঠিকা/কবিগণ মা আমার ভীষণ অসুস্থ, মাইজদি মেডিকেল হাসপাতালে আছেন।আপনাদের সবার দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করছি যেন তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।
-----------------------------------------------------------------------
যখন আসলাম ভবে তখন দেখলো সবে,
     কষ্টমাখা ক্ষণে মায়ের হাস্য বদন,
প্রসবের যত ব্যাথা নিমিষে হরন হলো সেথা
    আঁচলে ঢেকে রাখা আমার কাঁদন।


তখন মধুর উলুধ্বনি,আযানের প্রতিধ্বনি শুনি
     ভেসে ভেসে আসে মন সীমানায়,
কোন ধর্ম আমার ঘর কোন ধর্ম আমার পর
      ভাবতে পারিনি জীবন মোহনায়।


যখন বুঝতে শিখি জীবনের ছবি আঁকি তখন
      সনাতন ধর্ম নিয়ে আমার বাস,
মনে সাধ জাগে অন্য ধর্মতে কি আছে সেথায়
      পড়ে জানতে চাইলাম আঁশ ।


অমৃত অক্ষরে কোরআন,অমৃত অক্ষরে সনাতন
         আমি পাইনি কোন ভেদাভেদ,
সব ধর্মতে একই কথা নীতিকথার শুভ বারতা
     তবু মানুষে মানুষে কেন জেদাজেদ?


আমাদের পাঠিয়েছেন যিনি এক অদ্বিতীয় তিনি
     তবু আল্লাহ,ভগবান,যিশু নামে ডাকি
সকল প্রাণে তিনি আছেন ভবে যতদিন বাঁচেন
      আসুন তাঁর নাম টা এই বুকে আঁকি।


রীতিনীতির খেলা শুধু কিছু ব্যবধানে কাটে বেলা
     তোমার আমার নিয়মের কিছু ভাগ,
খুঁজে নাও বেদ বাণী তুলে নাও কোরআন খানি
   সেথায় আছে ভালোবাসা,রাগ,অনুরাগ।


ভালোবাসা খুব কাছে টানে রাগ এ শাসন মানে
       অনুরাগে তুষ্টি পাই জীবন ভরসা,
করোনা জাতের ভিবেদ স্রষ্টার সকল সুবেদ তথা
      জীবনের মানে খুঁজে পাবে সহসা।


রচনাকাল
২৭।১১।২০১৪ নির্ভর বন্ধন
ইউ এ ই ।