তুমি এলে আমার জীবনে,  শ্রাবণের এক পসলা স্নিগ্ধতা নিয়ে।
প্রযুক্তির এক বিতুলমান ব্যবহারে, ক্ষুদে বার্তা হয়ে আমার সেল ফোনে।
তখন ও শেষ হয়নি শ্রাবণের ঝিরঝিরে বাতাস, আর আকাশ কাল করা মেঘ, ভাদ্র আসি আসি করে।
এসেছিলে নিয়ে কদমের পুষ্প মঞ্জরিত বন্ধুত্বের ঢাক, বলেছিলে তুমি শুভ বন্ধুত্ব দিবস।
আর আমি তখন নির্বোধের মত বলেছিলাম,  কে তুমি ঠিক চিন্তে পারিনি।
তখন তুমি উপহাস করে বলেছিলে,আমি তোমার বন্ধু।
তখন ও পারিনি চিনতে তোমায়, পারিনি বুঝতে তোমার প্রয়োজন।
করেছিলাম জিজ্ঞেস নাম কী তোমার, বলেছিলে তুমি তখন, আমি নিশাত।
পেরেছ কি চিনতে আমায়।
ততক্ষণে হয়েছিল শুরু অজানায় কথা বলা।
লেগেছিল ভাল তোমার বোকা বোকা অট্ট হাসি, আর বসন্তের কোলাহিত সুমিষ্ট কণ্ঠ স্বর।
এখন ও কানে বাঁঁঝে আমার, সেই মধু মাখা কণ্ঠ স্বর নূপুরের বাঁঝনার মতো।
তখনও পারিনি বুঝতে আমি, হয়েছিলে কতটা আপন তুমি যে আমার।
মনের অজান্তেই জানতে চেয়েছি তোমায়, জানাতে তোমায় আমার নিজেকে।
তাই অগোচরে বলেছি তোমায় মনের যত ব্যাকুলতা।
মন চেয়েছ দেখতে তোমায়, ভয়ে যাওয়া খরস্রোতা নদীর মত।
আঁকতে তোমায় নিজের মত করে।