কবিটি শব্দে শব্দে দৃশ্যকল্প সাজায়...


আর মেয়েটি, যে কিনা কবিকে ভালোবাসে খুব,
যত্নে এঁকে দেয় দৃশ্যগুলো তার কবিতার খাতায়।


ওদিকে, অন্য কবিটিরও শব্দ আছে,
আছে মচমচে দৃশ্যকল্প...
তবে মেয়েটি নেই,
বেদনা আকঁবে যে পুঙ্খানুপুঙ্খ,
                          কবির ব্যক্তিগত নীলিমায়!


(১২.১১.২০০৯)


(প্রেক্ষাপটঃ আমার প্রায় সব কবিতাই বাস্তব অভিজ্ঞতা বা অনুভুতি প্রসূত। এই কবিতার প্রথম অংশের কবিটি ছিল, আমার ব্যাংক কর্মস্থলের কলিগ ২০০৮-১০ সালে। আমরা দুজনেই যখন আমাদের কবিতার প্রতি প্রেম আবিষ্কার করি, তারপর থেকেই প্রতিদিন আমরা একে অপরকে স্বরচিত কবিতায় মুগ্ধ করতাম। ওর নাম ছিল এইচ এম নাহিয়ান এবং কবি নাম - নাহিয়ান ফাহিম। তার একটি কাব্যগ্রন্থ আছে আমার কাছে, যা প্রকাশিত হয় আমি ব্যাংক ছেড়ে আসার পর। তার সম্পাদিত "তারুণ্য" এবং "জলঝারি" ম্যাগাজিনে আমার দুটো কবিতা প্রকাশিত হয়। সেই ম্যাগাজিনগুলোও আছে আমার কাছে। এই কবির সাথে আমার শেষ দেখা হয় ২০১২ সালে ধানমন্ডির আবৃত্তি অনুষ্ঠানে লেক পাড়ের মঞ্চে।


একদিন, তার একটি কবিতার খাতায় দেখি, একটি কবিতার নাম "আধোকাব্য" এবং তার প্রিয়া ঐ কবিতার আশেপাশে সেই খাতায় দৃশ্যাবলি এঁকেছিল। সেটা দেখেই, আমার মনে তখন এই বিরহ কবিতা গড়ে ওঠে এবং নিজ অফিস কক্ষে বসে এই কবিতাটি রচনা করি ২০০৯ সালে এবং নাম দেই "আধোকাব্যর উত্তর"। তখন কবিকে দেখাই, সে একটা power point বানিয়ে দেয় আমাকে আমার এই কবিতাটির, সেটাও আছে আমার কাছে। সে শুধু এটাই নয়, এই আসরে প্রকাশিত আমার "ছোট গল্প", "অভিমান ২" "রাবীন্দ্রিক সাজবতী মেয়ে" "যখন আমার দুঃখটির জন্ম হলো (অনুবাদ)" এবং সামনে আমি আরো কবিতা যেগুলো প্রকাশ করবো, তার সব power point স্লাইড আমাকে বানিয়ে দেয়। আমার কাছে রক্ষিত আছে সব, এবং আমাদের ই-মেইল যোগাযোগও সকল কবিতা বিষয়ক, সেগুলোও আমার কাছে আছে। আমার এই নিবিড় বন্ধু কবিটির প্রিয় কবি ছিলেন মহাদেব সাহা। এই আসরে যোগদানের পরে, আমি ওকে খুঁজছিলাম, অবশেষে আজ ৫.০৮.২০২০ এ ওকে খুঁজে পেলাম ৮ বছর পর, আমি ওকে এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে অনুরোধ করবো এবং আমি বিশ্বাস করি, তার কবিতা পড়ে কবি বন্ধুরা খুব মুগ্ধ হবেন। ধন্যবাদ।)