কারো কারো চোখের তারায়
দেখি বিদ্রুপ;
অনুরূপ কিছু ভাষ্য ভাসে, কারো কারো গুমোট মুখে,
যদিও তারা থাকেন নিশ্চুপ;
আর কেউ কেউ বক্র হাসিটা ঠোঁটের কোণে টেনে,
অকস্মাৎ মুখের ওপর বলেই ফেলে,
"এই পৃথিবীতে তুমি কেনো?
এই পৃথিবীতে তুমি কি?"
তখন আমি বলি, আসতে তো চাইনি!
আর তাই নিজেকেও কখনো খুঁজিনি;
এই বস্তুবাদী পৃথিবী,
আমি আমার পুরো অস্তিত্ব দিয়ে ঘৃণা করি;
উপায় তো নেই!
তাই তোমাদের পয়সার আইনেই
ছুটে চলি;
সা..রা..ক্ষ..ণ ছুটে চলি,
পড়ি কি মরি
শুধু ছুটে চলি,
বাগে আনতে যেন বাধ্য সবাই,
জীবন নামের এক দুর্বোধ্য ঘড়ি;
বস্তুবাদী এই পৃথিবীর,
জলশূন্য শুষ্ক চোখে,
নিতান্তই এক অপদার্থ আমি!
তবু বলি, অতীত আর বিষন্নতার সমন্বয়ে,
আমি একজন প্রকৃত আবেগী কবি;
তারপরও... ঐ যে! শোননি! - “কেউ কেউ” যারা কবি,
হ্যাঁ! হ্যাঁ! তাদের কাছে আমি,
রূপক আর অলঙ্কারহীন
বোধ্যতার জঞ্জাল মলিন
ধোপদুরস্ত এক অকবি;
“কেউ কেউ” কবিদের এই মহারাজ্যে,
আমি শুধুই কাঁটা, অপরিসীম এক মহা বিরক্তি।
(১২.০৯.২০২০)