কোন সে বিন্দু, অদৃশ্য উৎপত্তিস্থল,
উৎসারণ ভিসুভিয়াস;
কেমন করে কোন রসায়নে
গড়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য অধিগ্রহণ,
সত্তা জুড়ে বিস্তার করে আবেগের সাম্রাজ্য;


ভেবে ভেবে ডেকে আনে নির্যাতন,
শামুকের মতো গুটিয়ে পড়া
একাকিত্ব কে মনে হয় নিরাপদ নীড়;
প্রেম নাকি শুধু কষ্ট, বুঝে ওঠার আগেই,
হঠাৎ বিবরে দুঃখ যাপন;
কথার ধ্বনিরা হারায় পথ,
সংসারে প্রিয় মুখের উপর বন্ধ করে দেয়
রূঢ়তার দরজা;


হঠাৎ অনুভব, অশ্লীল হয়ে পড়েছে হাত;
অনধিকার লজ্জিত করে অস্তিত্ব,
             নিষ্পাপ ভালোবাসা যদিও;
ঐ পবিত্রতার শরীর, তার কাছে
আর দাড়াতে পারে না,
কোনোদিন দেখেনি তবু.... উদিত হয়
অনাহুত দায়; ছুটে আসে ছুরির মতো গ্লানি;


হঠাৎ কোনো বিকেলের আলোতে,
রোমান সিম্ফনি বেজে ওঠে,  
সন্ধ্যাদীপমালার মাঝে কোনো সৌন্দর্য জুলিয়েট ফোটে;
পুজারি কেন যেন পবিত্র প্রশ্নের কিছু প্রজাপতি
উড়াতে পারে না, অপরূপা নেফারতিতির সে হৃদয়ের বাগানে;


প্রজাপতি ওড়ে না, অপরূপা আফ্রোদিতিও কথা বলে না,
বা বলতে দেয়া নিষিদ্ধ! সমাজের পশ্চিম মাদুরে অঙ্কিত ভাষ্যে;
দূরে দাঁড়িয়ে মুহূর্তের প্রেমিক,
গ্লানিতে মৃত্যুর মতো জীবন ভালোবাসতে থাকে;
গর্হিত কর্মে লজ্জিত গিলোটিনে দিতে চায় মাথা পেতে;


এই সমাজের নষ্ট সিজারদের ঈর্ষান্বিত শাসন,
ক্ষণিকের সৌন্দর্য পুজারি আর অপরূপার
দুদন্ড নির্মল আলাপন সহ্য করে না;
সকল প্রেমের নিষ্পাপতা অন্ধদের চোখে
আসমানী অক্ষরে পাপ,
                    এবসোলুট অসহিষ্ণুতা ।


(08 জুলাই, 2020)