বৈশাখের পঙক্তিমালায় জুড়ে আছে আজ বিষাদ,
দেখবে না কারো পূর্ণ উদ্ভাসিত মুখ বৈশাখী শুভেচ্ছায়,
দেখবে শিশিরের মতো যেন অশ্রু মিশে আছে নববর্ষের সম্ভাষণে;


এবারে ফাল্গুনে তাকাইনি কৃষ্ণচূড়ার দিকে, খুঁজিনি দারুণ সে আগুন!
বসন্তে গুঁজে দিইনি ফুল প্রেয়সীর খোঁপায়,
হৃদয়ে বেজে ওঠেনি আনমনে বসন্ত ঠাকুরের আনন্দ গান;
শরতের মেঘগুলো পেলো মানুষের নিদারুণ অবহেলা,
স্বচ্ছ নীল আকাশ পেরিয়ে গেলো তারা শুভ্র অভিমানে;
তেমনই অভিমানে কেঁদেছে সাদা কাশেদের দল
আর নীরব থেকেছে সর্ষের তীব্র হলুদ সব প্রান্তর;
বর্ষার অবিরাম পতনের ছন্দ ধ্বনিদের সব হারিয়ে যেতে দেখেছি,
মানুষের অভ্যন্তর অস্বস্তির তীক্ষ্ণ শব্দ গুঞ্জণের মাঝে;


প্রকৃতি আজ মহা ক্ষিপ্ত, সে যেনো মহাপ্রলয়ের কোনো গৌরচন্দ্রিকা;
মহাকাল ধরে মানবের উপর্যুপরি বিদারণে,
অবশেষে মহা ঈশ্বরের মতো ধারণ করেছে সে রুদ্র-রূপ;


বৈশাখের পঙক্তিমালায়,_ তাই শুনতে পাবে আজ হচ্ছে ধ্বনিত,
মানব জাতির মহা মূর্খতার জন্য দুর্দান্ত বিদ্রুপ!


(১৪.০১.২০২১)


(অনন্য আলোয় আলোকিত এই কবিতার আসরের সবাইকে জানাই "শুভ নববর্ষ ১৪২৮!!)