"বসন্ত ২"


হে বসন্ত, এ কোন মোহে যে জড়াও আমাকে;
হৃদয়ে অতি চেনা তবু অচেনা এক ব্যথা,
কত যে না বলা কথা, বলতে ইচ্ছে করে;
নির্জন সমুদ্র দ্বীপে একাকী আলোর মিনার যেনো
অনুভবেরা, ছুঁড়ে দিতে চায় বহুদূর ঘুর্ণায়মান অব্যক্ত আলো;


আমার ইচ্ছে করে ভরিয়ে দিই,
প্রবাহিত এ বসন্ত বাতাসের রাজ্য, প্রলাপে প্রলাপে;
বসন্ত বিলাপে দিশেহারা হোক মনপ্রাণ;
শুষ্ক পত্ররাজি ঝরে ঝরে পড়ে,
যেনো অন্য এক সুর অন্য কোনো এক স্বরে;
সে সুর গুঞ্জরিত হয় হৃদয়ের প্রান্তে,
ভিজে যায় চোখ, সিক্ত হয় মন মনের অজান্তে;


বসন্তের বাতাসে উড়ে আসা দলছুট মেঘেরা,
যেনো কেড়ে নিতে চায় চাঁদের মহিমা,
অথবা ঢেকে দিতে চায় হয়তো তার সকল কলঙ্ক;
বোকা মেঘেদের দল, বোঝে না তো তারা!
মেঘেদের আড়াল থেকে উঁকি দেয় যখন চাঁদ,
বেড়ে যায়, বেড়ে যায় যে বহুগুনে, হিমাংশু'র রূপপ্রভা।


(২৪.০৩.১৯৯৭)


----------------------------------------------------------------


"ষাটের দশক"


যদি হারিয়ে যেতে পারতাম, কোনো মফস্বলের ভোরে;
শিউলি ঝরা পথের ওপর দিয়ে হেঁটে অনির্দিষ্ট
এক শীতের সকালে, নির্জন কোনো চা দোকানে
শুধু হাতে নিয়ে এক কাপ চা আর উদাসীন দূরদর্শিতা;
হয়তো বেজে চলেছে ষাটের বিখ্যাত কোনো আশা ভোঁসলে,
সুরের কারুকাজের ভাঁজে ভাঁজে, ছড়িয়ে দিতাম
গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাকার নীল ধোঁয়া; চা দোকানের বেঞ্চে বসেই,
ঘুরে বেড়াতাম শহর, ষাট দশকের রোমান্টিক পথে পথে;
নস্টালজিক সে সময়টিকে ভাবতে ভাবতে উঠে দাঁড়াতাম একসময়,
হয়তো একটি অকারণ দীর্ঘশ্বাসের সাথে;
আবার ফেরা, হাতে তুলে ক্ষুরধার দূরদর্শিতা, শিউলি ঝরা সে পথে।


(২৫.০৯.১৯৯৭)