ভুল ভেবেছি;
বুঝে গেলো সে বােকা বাঘ;


কবিতার সুনীল নীড়ে খেলা করে বিদূষক বাতাস;
দুলে রাজনীতির সাপ আর বাণিজ্যিক পাপ;
উদার অনুভবে ঝরে রক্ষণশীল অলীকের অভিশাপ;
কখনো স্পর্শ করেনি অন্ধ, ধ্রুপদী কবিতার উজ্জ্বল কথন,
ওদের কাব্য কবরে তা অবোধ্য আর নিষিদ্ধ শব্দচয়ন;


এ বাতাসে আমি নেবো না নিঃশ্বাস;
ভেঙ্গে পড়েছে বিশ্বাস অসত্য পদ্যভারে;
বেসামাল কথনের কতগুলো মানবজীবের বেকার অবকাশ,
যেনো আজ কবিতার রাজ্য;
শুধু ধর্মান্ধ, দেশদ্রোহী দাপুটে বাদন বাদ্য,
আর অসাড় লেন-দেন দৈনিক কার্য;
নেই কোনো নীতি পাঠে, সত্য সুন্দর,
মেরুদন্ডহীন পাঠ, মনোটোন ধন্যবাদ, খুব কদর্য;


অনেকে হয়েছে প্রহসন, নেই কোনো নিবিড় নিষ্ঠা;
জেনো ধোঁকা শুভেচ্ছায় ধুঁকছে তোমারও কবিতার পৃষ্ঠা;
বিষাক্ত শব্দজলে, ডোবাবো না হাত, শুভেচ্ছা প্রাপ্তির ছলে;


শুদ্ধ কবিতার জন্য খুঁজে বেড়াবো মাঠ ঘাট, ব্যুৎপন্ন বাট;
প্রকৃত কবিতার ঘরে ঘুমিয়ে পড়বো নিপাট;
ওদের চিনি, ওরা কারা,
নিমগ্ন পাঠ আর আশির্বাদ যোগ্য যারা;


তবু দুঃখ;
কখনো ওরাও কাবু হয়ে টাঙায় তাবু,
লেনদেনের বাণিজ্য মেলায় সাজায় পসরা;
নীতিহীন মানবীয় ভূগোলে,
একদিন যায় রেগে, পরদিন ঝাঁপ! সমঝোতা বিদূষকের অনলে,
অস্পৃশ্য করে স্নেহ, ডুবে যায় দুখের জলে;


কবিতার বিধাতা ছিলেন যারা, তাদের ভুবনে ছিল না কোনো হিপোক্রেসি;
অচল গ্রন্থে অন্ধ হয়েছে, কবিতার প্রকৃত ঐশ্বর্য শেখেনি;
বন্ধ করে দাও, এসো না দ্বারে;
যদি খুজে না পাও, উষ্ণতা আমার কবিতার শরীরে;
এসো না এই সৌম্য নদী কিনারে, এখানে উদাত্ত কবিরা খেলা করে;
বরং চলো যাও লেন-দেন গোখর বাণিজ্য তটে;
একা হতে দাও; থাকুক শুধু স্বর্গফুলের মতো,
জীবনানন্দ সুনীল শক্তির শত শত
কবিতারা, আমার ধ্রুপদী উদার নিভৃত মুঠিতে।


(২৬.১২.২০২০)