তোমরা সব রক্ত করবীর রাজা;
পর্দার আড়াল থেকে আমাদের দৈন্যতার আকাল মাঝে
ছুঁড়ে দাও ঐশ্বর্যমন্ডিত কথামালা;
আমরা মুগ্ধতায় লুটিয়ে পড়ি - সে স্বর্গের চাদরে;
খুটে খুটে তুলে নেই আমাদের অতৃপ্ত আত্মার ভেতরে;


আমাদের নিরন্তর নৈবদ্য সমুদ্র মন্থন করে ফেলে;
কিন্তু তোমাদের হৃদয় থাকে নিষ্ঠুর নৃপতির মতো অনড় আবেগশূন্য;
এ কি অন্যায় নয়;
তোমাদের কিসের এত ভয়?
আমরা হয়তো তোমাদের মতো নই কোনো রাজা;
তবু আমাদের কথামালারা,
ফুটে ওঠে নক্ষত্রের মতো কখনো কখনো - যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়;
বিপদগামী রাত্রির নিরালা আশংকার মাঝে, সটান দাঁড়িয়ে থাকে,
উপভোগ করে যে কোনো সময়ে আসন্ন মৃত‌্যুর সুখ;
তবুও আড়াল করে রাখি না আমাদের মুখ,
কোনো চামড়া গভীর সৌন্দর্য্যের দ্বিধান্বিত পীড়নে,
অথবা পরিচয় চাপা দেই না কোনো ছদ্মে - কোনোরূপ ভয়ে;
গুপ্ত ঘাতকের জন্য দরজা রেখেছি খুলে - আসুক না ছিনিয়ে নিক জীবন;
ভীতরাই ভালোবাসে ছদ্মবেশ ছদ্মনাম;
সাহসিকতার মাঝেই মানব সতত মহান;


এত ভালোবাসি তোমাদের - মাঝে মাঝে খুব রাগ হয়;
ইচ্ছে করে টুকরো টুকরো করে ফেলি,
তোমাদের ছদ্ম পরিচিতির দেয়াল;
ইচ্ছে হয়, কখনোই হবো না উত্তাল,
পড়ে নিতে আড়ালে থাকে রাজা-রাণী
আর রাজকুমারীদের কথামালার মায়াজাল;
যতই ভালো বলুক না তারা!
উত্তরে জানাবো না আমাদের ভালোবাসা,
জ্বালবো না প্রদীপ, আমাদের বিমুগ্ধ আত্মার তোমাদের হৃদয়ে;


নিরন্তর মোদের স্নেহের ধারা - দেবো সাত সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে।


(০৭.১২.২০২০)