কি, করছো কি তুমি লীন?
প্রাচীর কেনো আরো উঁচু করেছো?
কেনো ঘাঁটতে দিচ্ছো ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আমাদের
দরজা খুলে দাও
বিপদ যে বাড়ছে প্রতিদিন
এত মৃত্যু
পুরো বিশ্বের ক্ষোভ সামলাবে কি করে, যদি ফেটে পড়ে


লীন, তুমি প্রস্তুত হও
তোমার হলুদাভ একগুঁয়েমিতে তুমিই ধরা পড়ে যাচ্ছো প্রায়
প্রমাণিত হলে পালাবার পথ নেই


তোমার ধুলিকণা
সৃষ্টি করেছে গভীর নৃতাত্বিক অভিঘাত
ইতিহাসে এরকম ঘটেনি কখনো
গত চল্লি­শ বছর যে বিশ্বায়নের পথে মানুষ হাটছিলো
তোমার কণা থেকে উদগত অবিশ্বাস সে পথ রূদ্ধ করে দেবে আজ  


প্রথম থেকেই আমাদের মনে রোষ আর প্রশ্ন ফুটছিলো
অতি ধীর প্রবাহমান লাভার গায়ে উত্তপ্ত ছোট ছোট বাটি বুদ্ব বুদ্ব এর মতো


সত্যাণ্বেষীরা নেমে পড়েছে মাঠে, মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে
ক্ষুদে ক্ষুদে গোলকের ভেতর থেকে লুকোনো মিথ্যে তুলে আনা হবে


কেনো ফুটতে দিচ্ছো টগবগ, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব?


গুদ্রান প্রদেশের ঔ ল্যাবটি কিসের, কি হচ্ছিলো ওখানে?
শুনতে পাই, বায়োফর্মুলা চুরি করে
গোপনে তোমরা ধুলিকণা কালচার করছিলে
অসাবধানতায় ফ্লাস্ক ভেঙ্গে হয়তো অনুপ্রাণ ছড়িয়েছে প্রকৃতিতে


বিতালির প্রথম কেইস, তোমারই এক দম্পতি যুগল,
জানুয়ারীতে বিতালি এসে ট্যুরিস্ট বাসে আরো একশ লীনদের সাথে
ঘুরে বেড়ায় পুরো বিতালি জুড়ে
খিলানে কেনো ঐ আয়ানিজ মেয়েটি,
“আমি ভাইরাস নই, আমাকে আলিঙ্গন করুন” প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে
জাত প্রেমিক বিতালিয়ানদের প্রলুব্ধ করছিলো?
ফ্লোরাতে মাস্ক পরিহিত আরেক আয়ানিজ,
পথচারীদের তাকে আলিঙ্গন করবার জন্য কেনো অনুরোধ করছিলো?
টেস্ট করানো ছাড়াই বিমানে করে কোন কোন দেশে পাঠিয়েছিলে লীনদের তুমি?
উন্নত রাষ্ট্রগুলো পেরেই উঠছে না কণার সাথে
তোমরা কি করে কণা থামালে এত তাড়াতাড়ি
ভ্যাকসিন কি তাহলে আছে তোমাদের কাছে?
সারা বিশ্বে ধ্বসে পড়া অর্থনীতির মাঝে তোমার অর্থনৈতিক ভিত
কেনো কেঁপে ওঠেনি তেমন করে!


সন্দেহের দানা বহন করে বুকে
আমরা লড়াই করে যাচ্ছি অনুপ্রাণের সাথে


সাদাডোম বাড়িটির অধিকারী হবার পরে উম্মাদ
আরো আগ্রাসী আরো বায়ুগ্রস্থ
সন্দেহের দানা তার মাথায় বিষ্ফোরিত হয়ে গেছে
লীন, তোমাদের পিছু সে আর ছাড়বে না
কু এর ফান্ডিং বন্ধ করে দিয়েছে
এবং শাষাচ্ছে তোমাদের - পরিণতি ভালো হবে না
মনে রেখ, ক্ষমতার সর্বোচ্চ চূড়ায় সে বসে আছে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে
তোমাদের বন্ধ দরজা সে ভেঙ্গে ফেলবেই


লীন তাকিয়ে দেখো, ত্রস্ত হও, খুব ভীত হও


সারা ইউটোপিয়ান ভূমি থেকে


তর্জনী উঠছে
কোটি কোটি তর্জনী উঠছে উর্ধ্বে
তর্জনীর সমুদ্র
পশ্চিম থেকে তর্জনী দেখাচ্ছে পূর্বদিক
তর্জনীর চোখে যুদ্ধের ক্ষিপ্রতা জেগে উঠছে


ভ্রুশেরা কেনো যেন শুধু একটু নিশ্চুপ!


আজ যদি হায়! আমার মাতৃভূমি
থেকে ছুটে যেতো সারা বিশ্বে অনুকণারা
উত্তরে উড়ে আসতো শত শত বোমা
গুড়িয়ে দিতো আমাদের কোনো প্রশ্ন ছাড়াই


তুমি শক্তিশালী, তবুও বাঁচবে না তুমি!


যদি আমরা জেনে যাই, তুমিই দায়ী
যদি আমরা প্রমাণ করি, তুমিই দায়ী
পৃথিবীর এত এত অহেতুক মৃত্যুর!


যদি প্রমাণ হয়েই যায়


তাহলে সেটা - সারা বিশ্বের উপর তোমারই যুদ্ধ ঘোষণা
তাহলে সেটা - তোমারই ’পরে, তোমারই ডেকে আনা, সর্বনাশী যুদ্ধের দামামা!


তোমাকেই গ্রাস করবে তোমারই কণারা!


(রচনাঃ ২১.০৪.২০২০)