শোন নব্য দেশদ্রোহী, অবগত হও প্রকৃত সংজ্ঞা;
কোনোরূপেই এক নয় জন্মভূমির স্বাধীনতা আর নাগরিক স্বাধীনতা;
বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানে  লাল-সবুজের ঐ নিশানা,
আর নাগরিকের স্বাধীনতা দেশের সংবিধান;
ঋষভ মস্তকে দুটোকে গুলিয়ে ফেলো না;
মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে অশ্রদ্ধা করার অবৈধ তেজস্বীতা করো না প্রদর্শন;
কবিতা লিখে দেশের মানচিত্র স্বাধীনতাকে ধুলোতে মিশিয়ে,
তুমি কখনো এই স্বদেশজননীর কবি নও, হতে পারবে না;  


বাংলাদেশ স্বাধীন, সারা বিশ্বের কাছে তা সম্মান;
অতিশয় আত্মমর্যাদা, আমার তোমার সবার;
কে করছে শাসন? - তোমার আমার মতো স্বাধীন দেশের মানুষ;
হয়তো এর সমর্থিত দল, না হয় ওর সমর্থিত দল;
শাসনের সাথে ৭১ এর স্বাধীনতার কি সম্পর্ক?
নব্য রাজাকার, কোন কুলাঙ্গাকার কাছে শিখছো এসব তত্ত্ব!


অনাহারে মরো - তবু মরো স্বাধীন দেশে;
রাজাদের পক্ষ-বিপক্ষ কোন্দলে মর - তবু মরো স্বাধীন দেশ ভালোবেসে;
শাসকের অন্যায়ের প্রতিবাদে, লড়াই কর,
কিন্তু তার ধোঁয়া তুলে হে নপুংসক বীর, অপমান করে দেশের স্বাধীনতা,
কোন সাহসে নিমার্ণ করো দেশদ্রোহী শব্দ শরীর!


শাসক যারাই থাকুক, তাদের শাসনে তোমার অসন্তোষে,
কোন সে বিকার স্ফুর্তিতে, পরিণত হবো আবার হানাদার হায়েনার দাসে?
কি করে এই ইবলিশী মূর্খতা তোমার মুখটি চষে!
ভালো করে মনে রাখো গেঁথে,
শেখ মুজিব, একাত্তর আর স্বাধীনতা
সমস্ত রাজনৈতিক বিভাজন, আর জঞ্জাল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা;


তোমার দেশদ্রোহী শব্দ শরীরের অশ্লীল যাতনা
মনে করেছো কি আমরা টের পাই না!
বাংলাদেশ আর তার স্বাধীনতা যদি ভালো না লাগে, তা বেশ,
ছেড়ে চলে যাও বাংলাদেশ!
দেখি কার চাঁদের দেশ, দেয় তোমার বিকারে সুখের আবেশ;


এখন বুঝে নিচ্ছি আমরা দেশপ্রেমিকেরা তোমাদের ঔদ্ধত্য অভিলাস;
তাহলে বোঝনি এখনো কাকে বলে একাত্তর!
দ্বিতীয়বার চাইছো কি সত্বর?
যেদিন দেশদ্রোহীতার শেষ দাগটি পেরুবে, সেদিন আবার দেখবে,
বাংলাদেশের বাঙালি কাকে বলে!
কাকে বলে একাত্তর! আর দেখবে মুজিব-কে!
কোটি কোটি হৃদয়ে, দ্রোহে আর দেশপ্রেমে, বাঙালির রণগর্জনে জেগে উঠেছে!


(০৩.০৭.২০২০)


(শত সহস্র লক্ষ কোটি অনন্ত অগুণিত বিদ্রোহ শব্দ শরীর লেখা হোক, শাসকের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে! তবে সে বিদ্রোহ লিখনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মতো অমিয় প্রাপ্তিকে কালিমা লেপন "কি লাভ হলো দেশের স্বাধীনতা পেয়ে" - এই নিকৃষ্ট অনুভব, এই হীন প্রশ্নের তীর ছোঁড়া সঠিক নয়! শুধুমাত্র বাঙালির নিজের একটি স্বদেশ পৃথিবীতে, এই প্রাপ্তি ঐশ্বর্যের কোনো তুলনা নেই! "স্বাধীনতা মানে" "স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও কারণ" শুধুমাত্র একটি - বিজাতীয় হানাদার অধীনতা, দাসত্ব থেকে বাঙালি মুক্তি অর্জন করে, বাঙালির জন্য পৃথিবীতে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠন করা। ব্যস! আর কোনো দ্বিতীয় কারণ বা উদ্দেশ্য নেই, নেই, নেই! দেশের শাসনের অসন্তোষে, যারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা আর স্বাধীনতাকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা, ভুলুন্ঠিত করে, বলতে চায় - "স্বাধীন হয়ে কি লাভ হলো", যার একমাত্র অর্থ দাড়ায় - "হানাদার দাসত্ব অধীনতা শ্রেয় ছিল" এবং যারা "সহমত পোষণ" করে - তাদের জন্য আমার করুণা এবং নীরবতা। সবাই নিজস্ব মূল্যবোধ নীতি বজায় রাখুন। দুই তরীতে অবস্থান বাঞ্ছনীয় নয়। ধন্যবাদ।)