দেশদ্রোহী শব্দ শরীর শুন্;
কাঁচকলার বিষকাব্যে হানাদার রূপী শকুন ।


কাঁচকলা কবি এক ভন্ড বীর;
সাজিয়ে চলে দেশদ্রোহী শব্দ শরীর ।


কাঁচকলা কবি সব রাজাকার;
হানাদার বুটের লাথি, খুব ভালো লাগে তার ।


স্বাধীনতা যেনো যন্ত্রণা;
হানাদার পরাজয়ে, কাঁচকলার ঘুম হয়না ।


কাঁচকলা ঘোলা করে যে জল;
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা মুজিব, সব নিষ্ফল ।


কাঁচকলা রামগরুড়ের ছানা;
রাজাকার গল্প বলো মুক্তিযুদ্ধ মানা ।


কাঁচকলা মগজ ধোলাই ছলে
রাজাকার তিলক পরে, ডুবে মরো জলে ।


কাঁচকলা ধরলো খপাৎ নারী;
রাজাকার বেদির 'পরে দিলো কতোল করি ।


জন্ম হয়নি! জানি না যেনো!
রাজাকারের একাত্তরে এলার্জি কেনো ।


প্রবাস রাজ্যে অনেক হানাদার;
তাদের চুমো সৃষ্টি করে বহুৎ রাজাকার ।


(১৯.১২.২০২০)


(আফগান লান্দে, প্রথম পঙক্তি ৯ মাত্রা, দ্বিতীয় পঙক্তি ১৩ মাত্রা)


(শত সহস্র লক্ষ কোটি অনন্ত অগুণিত বিদ্রোহ শব্দ শরীর লেখা হোক, শাসকের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে! তবে সে বিদ্রোহ লিখনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মতো অমিয় প্রাপ্তিকে কালিমা লেপন "কি লাভ হলো দেশের স্বাধীনতা পেয়ে" - এই নিকৃষ্ট অনুভব, এই হীন প্রশ্নের তীর ছোঁড়া সঠিক নয়! শুধুমাত্র বাঙালির নিজের একটি স্বদেশ পৃথিবীতে, এই প্রাপ্তি ঐশ্বর্যের কোনো তুলনা নেই! "স্বাধীনতা মানে" "স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও কারণ" শুধুমাত্র একটি - বিজাতীয় হানাদার অধীনতা, দাসত্ব থেকে বাঙালি মুক্তি অর্জন করে, বাঙালির জন্য পৃথিবীতে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠন করা। ব্যস! আর কোনো দ্বিতীয় কারণ বা উদ্দেশ্য নেই, নেই, নেই! দেশের শাসনের অসন্তোষে, যারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা আর স্বাধীনতাকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা, ভুলুন্ঠিত করে, বলতে চায় - "স্বাধীন হয়ে কি লাভ হলো", যার একমাত্র অর্থ দাড়ায় - "হানাদার দাসত্ব অধীনতা শ্রেয় ছিল" এবং যারা "সহমত পোষণ" করে - তাদের জন্য আমার করুণা এবং নীরবতা। সবাই নিজস্ব মূল্যবোধ নীতি বজায় রাখুন। দুই তরীতে অবস্থান বাঞ্ছনীয় নয়। ধন্যবাদ।)