দেশদ্রোহী শব্দ শরীর শোনো ওদের ভন্ড জিকির
বলছে যে এক রাজাকারে করছি আমি ফন্দি ফিকির
জানে কি ঐ ঋষভ মূর্খ করিনি যে রাজার তোষণ
কখনো যে নেইনি আমি রাজার নীতির ভরণপোষণ


কখনো তো যাইনি আমি রাজার দলের মিছিল মিটিং
কখনো তাে চাইনি আমি রাজার কাছে ব্যবসা ফিটিং
সারা জীবন দূর থেকেছি যত রকম শাসন শোষণ
এ রাজাকার বলে কিনা লিখছি যদি পাই প্রমোশন


হা হা করে হাসি আসে বলছে কি এ রাজাকারে
উঠে বসে আল্লাহ স্মরে অনুমানে গুনাহ্ করে
ওঝার নিকট চুপিসারে গীবত গেয়ে রাগটা ঝারে
দেশদ্রোহী শব্দ শরীর মানত করে হানাদারে


যখন তখন দেয় তারা ফাল হানাদারের ঘৃণ্য বেতাল
দেশদ্রোহী ঐ বাখোয়াজ দেশপ্রেমিরা সব যে দালাল  
স্বাধীনতায় লাভ কি হলো মন্ত্র পড়ে দুলিয়ে শির
রাজাকারে লিখে চলে দেশদ্রোহী শব্দ শরীর ।


(২২.১২.২০২০)


(স্বরবৃত্ত, ৪+৪+৪+৪)


(শত সহস্র লক্ষ কোটি অনন্ত অগুণিত বিদ্রোহ শব্দ শরীর লেখা হোক, শাসকের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে! তবে সে বিদ্রোহ লিখনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মতো অমিয় প্রাপ্তিকে কালিমা লেপন "কি লাভ হলো দেশের স্বাধীনতা পেয়ে" - এই নিকৃষ্ট অনুভব, এই হীন প্রশ্নের তীর ছোঁড়া সঠিক নয়! শুধুমাত্র বাঙালির নিজের একটি স্বদেশ পৃথিবীতে, এই প্রাপ্তি ঐশ্বর্যের কোনো তুলনা নেই! "স্বাধীনতা মানে" "স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও কারণ" শুধুমাত্র একটি - বিজাতীয় হানাদার অধীনতা, দাসত্ব থেকে বাঙালি মুক্তি অর্জন করে, বাঙালির জন্য পৃথিবীতে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠন করা। ব্যস! আর কোনো দ্বিতীয় কারণ বা উদ্দেশ্য নেই, নেই, নেই! দেশের শাসনের অসন্তোষে, যারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা আর স্বাধীনতাকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা, ভুলুন্ঠিত করে, বলতে চায় - "স্বাধীন হয়ে কি লাভ হলো", যার একমাত্র অর্থ দাড়ায় - "হানাদার দাসত্ব অধীনতা শ্রেয় ছিল" এবং যারা "সহমত পোষণ" করে - তাদের জন্য আমার করুণা এবং নীরবতা। সবাই নিজস্ব মূল্যবোধ নীতি বজায় রাখুন। দুই তরীতে অবস্থান বাঞ্ছনীয় নয়। ধন্যবাদ।)