ধর্মান্ধ কবি দবির বিল্লাহ
ধর্মান্ধ কাব্য লেখেন;
দেশটা কেন ধর্মান্ধ না?
কাব্যে নাকি কান্না কাঁদেন;


আমাদের তো শাস্তি হয় না,
তাই দিবাস্বপ্ন দেখেন;
কেয়ামতের পরে শাস্তি হচ্ছে,
তিনি স্বচক্ষে সেখানে আছেন;


সব ধর্মের কবিতা আসরে,
তার ধর্মটি শ্রেষ্ঠ বলেন;
কেউ মানবতার কাব্য লিখলে,
তাকে মন্তব্যে খোঁচা মারেন;


প্রতিদিন তার কাব্যে দেখি,
উগ্রবাদের উসকানি;
হানাদার বজ্জাতের মতো,
যেন হয় বাংলা রাষ্ট্রখানি;


সংখ্যাগরিষ্ঠের ধারাপাত পড়ে,
তিনি রেগে মেগে হলেন কাত;
তার ক্রোধ দেখে মস্ত পুলকে,
লিখলাম ধর্মান্ধের ধারাপাত;


শোন হে ধর্মান্ধ কবি,
এটা আজ আধুনিক পৃথিবী;
ধর্ম তার মানবতা ও বিজ্ঞান,
যতই কাঁদো না তুমি;


কোথায় লিখেছে আমাদের ধর্মে,
পোড়াও হিন্দুর ঘর;
লিখেছো কি একখানা কবিতা ?
দরদে হিন্দুর 'পর;


ইসলাম গ্রহণ করেছি আমরা,
স্নিগ্ধ বাংলার বুকে;
মরু সংস্কৃতি আমাদের নয়,
তা বোঝো না অন্ধ মস্তকে ?!


সুজলা সবুজ বাংলা আমার,
কখনো হবে না ধর্মান্ধ ;
মরুদেশ হবে না বাংলাদেশ,
ষড়যন্ত্র করো বন্ধ ।


(20.10.2021)


(* আমি যৌক্তিকতায়, আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিন্দু ভাইবোনদের ঘরবাড়ি পোড়ানো, ওদের পুজো উৎসবের আনন্দ দুঃখে পরিণত করার অসহ্য কষ্ট নিয়ে, প্রতিবাদে যখন কবিতা লিখছি, তখন অপ্রাসঙ্গিকভাবে সুস্পষ্ট ইঙ্গিতে মন্তব্যের মাধ্যমে, অপমান করবেন, সে অধিকার কারো নেই, সে অপমানের আমি প্রাপ্য হতে পারি না । আপনাদের কাছে অনুরোধ, একটু কল্পনা করুনতো, আপনাদের ঘরবাড়ি কেউ এসে আগুন দিয়েছে ধর্মান্ধ ক্রোধে, জ্বলছে আপনার সুখের নীড়, দাউ দাউ করে ধর্মের অজুহাতে! আমাকে ক্ষমা করবেন বন্ধুগণ।)