সেদিনও ভাবছিলাম;


দূর থেকে দেখছিলাম মা'কে,
কেমন একা, খুব একা.......
    একাকী বসে আছে খাটে;
একদিন ছিল বাঘিনীর মতো,
আজ ছোট এক নিঃসঙ্গ পাখি,
দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে একটানা
কি যেন দেখে তার নীরব দুটো আঁখি;


আমার বুকে নাড়া দেয় কষ্ট,
আমি যাই তার কাছে, বলি মা কি ভাবছো?
ছেলে কে দেখে কী সুন্দর হেসে ওঠে,
বলে, না, ভাবছি.....
(তুমি কি বুঝতে পারছো,
কেনো বুকে আবার মুচড়ে উঠলো কষ্ট)
খানিকটা যেন গল্পের সুযোগ পেয়ে,
মিষ্টি এক খুশির আলো মুখে ফুটলো স্পষ্ট;
আর আমি তখন বলে উঠি বুকের ভেতরে কাউকে,
আহা আমার মিষ্টি মা,
আরো বহুদিন বাঁচিয়ে রাখো তাকে;


সেদিন ভাবছিলাম, দূর থেকে দেখে মা'কে,
কেউ যদি পরে যায়,
সঙ্গী অন্যরা চলে যায় আগে,
কথা বলার মানুষগুলো
ফুরিয়ে যেতে থাকে একে একে,
আশপাশ ছাড়াও বুকের মাঝখানটাও
          কেমন শূন্য হতে থাকে;


আপনেরা সবাই ব্যস্ত,
কেউ আর আসে না তেমন করে কাছে,
একদিন ছিল যে মধ্যমণি,
দেয়ালের মতো আগলে রেখেছিল যে,
আজ নিরালাতে সে নিশ্চুপ বসে আছে;


দূর বহুদূর দিনগুলো শুধু স্মৃতির কাঁচে,
ভাবে হয়তো বসে নিরালায়,
কথা বলার মানুষগুলো আজ সব কোথায় আছে?
একা ঘরের নিঃসঙ্গতা
তাকে বিষন্ন চিত্রের মতো নিশ্চল করে রাখে;
এই দৃশ্য দেখে
বুকটা ভীষণ ভীষণ ভারী হয়ে ওঠে;


একদিন শেষ পাখিটিও উড়ে হারাবে,
নিঃসঙ্গ তার ঘরটি পরিপূর্ণ শূন্য হবে;
চোখে ভাসবে সেদিনও,
                      তাকালে ও ঘরে
বিষন্ন চিত্রের মতো সঙ্গীবিহীন একা,


খুব একা একজন ওখানে বসে আছে।


(25.09.2021)