দুশো ফানুস উড়িয়েছি;
ওরা আমার দুশো অভিলাষ,
কোনোটি অধঃপতন, কোনোটি উর্ধ্বগমন;
নীল, ধূসর, রক্তিম আকাশে উড়ছে,
যেন কৃতজ্ঞ কোনো অর্ঘ্য, করছি আমি সমর্পণ;
নক্ষত্র ছুঁয়ে দেবার মতো সৌন্দর্য্য তাদের নয়,
তবু সাত রঙে রাঙিয়ে সান্ধ্য হৃদয়;
চোখের কোণে এলো একটু নোনা জল,
বুকে পেলাম পূর্ণতার অনুভব;


কোনো কোনো ফানুস মানবকে করেছে মুগ্ধ,
কোনো মানব হাতে তুলেছে ধনুক;
কোনাে মানব বাতায়ন করেছে রুদ্ধ,
কোনো মানব মুখে পরেছে বিদূষক মুখোশের মুখ;
কোনো মানবের বিমুগ্ধ সুখে,
আরো প্রগাঢ় হয়ে জ্বলেছে, আমার দুশো ফানুসের বুক;


আর বলে গেলো সে চাতক,
বিদুষী সে রমণী আমার!
ফানুসের আলোতে দিয়ে চুমুক;
পেয়েছে সুখ, পেয়েছে তৃপ্তি,
করেছে উচ্চারণ;
তার বিখ্যাত অনন্বয়ী অব্যয় ধ্বনিটি - আরো একবার;


আমি হেসেছি, আমি থেকেছি নির্বিকার;
ফানুস উড়ে চলেছে আমার চারিধার;
আর দেখছি সজ্জিত এক মৃত্তিকার ঘর;
আর কিছু ফানুস উড়াতে দাও, তারপর;
অনন্তকাল ভালোবাসবো, তোমার অকাট্য অন্ধকার।


(১০.১২.২০২০)