নীরবতাই দ্যুতিময়!
আর সময়, সে তো সব কিছু কেড়ে নিয়ে আরো বাঙময়;
তুমি হয়ে ওঠো দূর নক্ষত্র,
আমি দেখি তোমায়, দাঁড়িয়ে ছাদের আঙ্গিনায়;
হাতে ধরা চায়ের কাপে, উদাসী বাতাস ছুঁয়ে যায়;
আত্মহারা নীরবতায়,
আশ্চর্য হা-হুতাশ প্রেমিক শব্দরা, লজ্জায় ভেঙ্গে পড়ে স্বরক্ষুন্ন হয়ে যায়!
শেষের কবিতা আরো প্রগাঢ় হয়,
স্থানুর মতো গাড়ে নির্দেশিকা,
আর কোনো ভাবনা নয়, ভাবলেই সব গ্রহরা, হবে ধ্রুব যাতনাময়;


সময় গড়িয়ে যায়, পাহাড় থেকে পাথর যেমন,
তবে থামে না, প্রদক্ষিণ করতেই থাকে পৃথিবীটাকে,
আর তারই এক ফাঁকে, দেখি এক দুয়ার খুলে যায়
অনন্তের পথে;


হাতছানি দিয়ে ডাকে না! কারণ আমি বাধ্য যে,
সে পথে আমাকে যেতেই হবে,
যতই থাকুক তানসেনের মতো সুললিত শাহী প্রার্থনা!
সে যাত্রার কোন বিকল্প, পৃথিবীর কোনো অংক
তার সমাধান দেয় না!
নিউটনের হাতে নুড়িই শুধু, অজানার ঐ সমুদ্র আর পাড়ি দেয়া হবে না;


নিরন্তর বিহ্বলতার মাঝে জানি আসছেই! এক অন্তিম বিহ্বল দ্যোতনা।


(২০.০৭.২০২০)