তুমি অজানা এক বিজন ভুবনের পাখি;
রহস্যময়ী, শুদ্ধ অনুভবের প্রতিমুর্তি;
পেরিয়ে আসো সৌরজগত,
পেরিয়ে আসো অভিমানী আকাশের নীল;
সরিয়ে কিছু মেঘের ভেলা,
যেথা ভেসে থাকে আমার দুখের অন্ত্যমিল;


তোমার স্পর্শে মলিনতা থেকে মুখ তোলে পৃথিবী;
ত্রস্ত হয়ে ঠিক করে তার আবর্তন;
দূতগুলো শুরু করে দেয় দারুণ ছুটোছুটি;
দুগ্গা দুপুরে বিছিয়ে দিতে - চুলের ফিতে,
ফিঙে, রোদ্দুর, মাঠ আর গোধূলীর কান্না,
যুবতীর নির্বাসনের লাল চেলিতে;


তুমি ভালোবাসো আমার আঙ্গিনার সে বৃক্ষ;
যার মাঝে লুকোনো আমার কিছু কিছু দুঃখ;
তোমারও যেমন আছে, তবে ওসবে জীবন পড়ে না ধ্বসে;
বরঞ্চ আরো ঋদ্ধ করে জীবনবোধ,
তাতে মিশে থাকে খানিক বিষন্ণতা আর শুধু এক চিমটে ক্রোধ;


তুমি এলে দক্ষিণা বাতাস হয়ে ওঠে মুখর,
এলোমেলো ছন্দে ফোটে ফুল - তোমার ভুবনের;
জোনাকির মতো জ্বলে চার পঙক্তির আলো,
খুঁজে পাই অনুভবের সুষ্ঠ ভূমি;
বাগানের ঘাসে ছড়িয়ে পড়ে নির্মল দুষ্টুমি;
কানে কানে বলে, উঠে এসো ধূসর থেকে তাড়াতাড়ি,
এখনো অনেক দূর, কাঁচে ঘেরা সে গাড়ি;


তার আগে শুনে যাও অনেক গল্প আমার;
ভাত-কাপড়ের ওপর ঝুলে থাকা গৃহিনী মেয়েটির হাহাকার;
আর ঐ মেয়েটি, অন্যপাড়ার, কোজাগরী রূপ ছিল না যার;
কেন আসে না পানকৌড়ি আর; আর আসে না সে বিকেল,
হারিয়ে গেলোও একদিন, সে বিকেলে ফিরে যাবার সাইকেল;  


এত হতবাক করে দাও তুমি;
ছায়াতরীর চুপকথা দৃশ্যে, সাষ্টাঙ্গে প্রণামের পর, মা যখন বলে,
দূর পাগলি! তা আবার হয় নাকি?
অথবা দ্বিতীয় শ্রাবণে, এক সিকি বাধা ওড়নার খুটে...
সব নান্দনিক সত্যজিত, অনবদ্য ফুটে ওঠে;


হে কবি তোমার কবিতার সুখে,
আমি হয়ে উঠি প্রাঞ্জল মানব; সতত এক স্নিগ্ধ বিস্ময়ে।


(০৬.১২.২০২০)


(* কবি সুপর্ণা কে উৎসর্গ। স্নেহে, ভালোবাসায়, আশির্বাদে। উৎসর্গকৃত আমার কবিতাটি, কবি সুপর্ণার কবিতার অনন্য কতগুলো উপাদান দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে, নামকরণটিও তাই। এই তরুণ কবি আশ্চর্যরকম ঋদ্ধ, ব্যতিক্রমি ভাবনায় তার কবিতাগুলো দারুণ পৃথকতায় সমুজ্জ্বল। ব্যক্তিত্বে দৃঢ় এবং সহনশীল। কবি, তোমার জীবন সুখী হোক চিরকাল।)