বড় কবি হয়েছিলেন;
পকেটে নিরোর বাগানের পুষ্প গেঁথে,
এক সৎ কবির বিপন্ন সমুদ্র খোঁড়া বন্ধ করে দিলেন একদিন;
তারপর নিজেই খুঁড়তে লাগলেন সমগ্র এশিয়াভুমি;
খুঁড়তে খুঁড়তে গড়ে ফেললেন এক ধনাঢ্য পর্বত, দরিদ্র দেশে;
এই আশ্চর্য শৈল্পিকপ্রতিভায় গ্লোবাল ট্রিবিউন বিস্ময়ে বিমুঢ়!
                                     প্রচ্ছদে শোভা পেলো কবির কায়া;
প্রতিভাবান কবির কলমে ছিল অনীহা, বায়না লেখক এক বড় কবিকে,
ভাব বলে দিতেন প্রভাতে, সন্ধ্যায় অর্ডার ডেলিভার হয়ে গেলে,
কবি চলে যেতেন সেদিনের নির্দিষ্ট অভিসারে, গায়ে সোনালী আতর মেখে;
কবি দীর্ঘায়ু পেয়েছিলেন, যেমন দীর্ঘ ছিল তার মায়াবতীদের লিস্ট;
প্রত্যেকের জন্য আলাদা এঁকে দিতেন নিখুঁত গুচ্ছগ্রাম আর সেগুলোতে যাবার রাস্তাঘাট;
দয়াবানও ছিলেন বটে, তার প্রেমিকার এক বরকে উপহার দিয়েছিলেন সোনার হাত ঘড়ি
                                                                     আর রজনীগন্ধা চাষের জমিন;


কিন্তু একদিন কবির চাপরাশিরা করে ফেলে এক মহাভ্রান্তি,
জনঅরণ্যের অতি প্রিয় সাদাকালো এক ফুল, তারা পায়ের তলায় পিষে ফেলে,
সেটাই শেষ পর্যন্ত প্রমাদ ঘটায়, বড় কবির রাজত্ব শেষ হয় বেহায়ার মতন;
                                                         বাকী জীবন আর কবিতা লেখেননি অভিমানে;
শুধু পড়ে গেছেন তৈলতন্ত্রে বেঁচে থাকার বিবিধ ব্যকরণ আর মাঝে মাঝে
                                                          আবৃত্তি করে শোনাতেন বিমুর্ত সব শব্দ উচ্চারণ;


কবিতার চেয়ে কবির সাফল্য ছিল অন্যক্ষেত্রে বেশী,
                                      কেউ তার ধুরন্ধর চালাকি ধরতে পারেনি!


(১৯.০৬.২০২০)