(মূল রচনাঃ Freudiana
by Eric Woolfson, 1990)


একাকী ছিলাম আমার ঘরে
নিজের জন্য নিজেরই দুঃখ হচ্ছিল;
আমায় ডাকতে পারো ধ্বংসের দূত,
এছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছি না নিজেকে;


খুঁজে পেলাম ফ্রয়েডের একটি গ্রন্থ
তাকের উপর; ধুলো জমছিলো গ্রন্থটির ’পরে,
ভাবলাম, দেখি না একটু পড়ে
হয়তো বিমুখ হবো অথবা সহায় হবে;


হে ফ্রয়েডীয় মানব, তুমি কি কিছু হতে চাও?
হে ফ্রয়েডীয় সত্তা, তুমি কি পৃথিবী বদলে দিতে চাও?


দেখা হলো নেকড়ে-মানব, ইঁদুর-মানব,
অ্যানা-ও আর ছোট্ট হ্যানস্ এর সাথে;
টানটান দড়ির ওপর হাঁটছিলো তাদের অস্তিত্বরা;
ভেবেছিলাম এই বিপাক থেকে, তারা পাবে না উদ্ধার;
তখনই একটি প্রসারিত হাত, তাদের ধরলো এসে
তাদের পতনের ঠিক আগ মুহূর্তে;
কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম চোরাবালির ওপর
অনুভূত হচ্ছিলো না মাটি, পায়ের নিচে;


হে ফ্রয়েডীয় মানব, তুমি কি কিছু হতে চাও?
হে ফ্রয়েডীয় সত্তা, তুমি কি পৃথিবী বদলে দিতে চাও?


তাকালাম আমি পেছন ফিরে, খুঁজে পেতে
আমার সত্তার সে অংশটিকে, যাকে আমি জানি না;
সত্য অবলোকন না করা পর্যন্ত, আমি থামবো না;
কত না দীর্ঘ পথ আমায় যেতে হবে;


আমি দেখলাম অপরিচিত একজনের চিত্র,
তবে আমি বুঝিনি কেনো?;
তার আঙ্গুলে ছিলো একটি অঙ্গুরীয়,
এবং তার হাতে ছিলো জ্বলন্ত কোনোকিছু;
আমি চাইছিলাম সে আমাকে শিখিয়ে দিক
এবং আমার প্রয়োজন ছিল বিশ্বাস করার;
কিন্তু যে ছায়াদের সে আমার দিকে ছুঁড়ে দিলো
প্রতারণা করাই ছিলো তাদের অভিপ্রেত;


হে ফ্রয়েডীয় মানব, তুমি কি কিছু হতে চাও?
হে ফ্রয়েডীয় সত্তা, তুমি কি পৃথিবী বদলে দিতে চাও?


(০৭.১০.২০২০)


(*সিগমন্ড ফ্রয়েডের ভুবন নিয়ে শিল্পীর নিজের স্বপ্ন মাঝে সেই ভূবনের অনুভব। নেকড়ে-মানব (Wolfman), ইঁদুর-মানব (Ratman), এবং অ্যানা-ও (Anna O),  ছোট্ট হ্যানস (Little Hans ) এরা সব ফ্রয়েডের রোগীদের ছদ্মনাম তার লেখা কেস-হিস্ট্রিসমূহে। সিগমন্ড ফ্রয়েড মনোবিজ্ঞান জগতে বহু বিখ্যাত এবং বিতর্কিত তত্ত্বের সৃষ্টি করেছেন।)