জার্সি যখন পরেছিস, এবং ওদের পতাকা
এত্তো প্রেমে যখন শরীরে মুড়েছিস,
আর খুলিস না তুই বাবা!
আমার বাংলার কুসন্তান, চলে যা,
ওদের পার্বত্য পাষন্ড সামন্ত শাসনের দেশে
চলে যা; লাল সবুজের পতাকা,
ভালোবাসিসনি কোনোদিন জানি;
সুতরাং বুক থেকে নামাতে কষ্ট হবে না;
বরঞ্চ একাত্তরে জাহানের ভাই কোতল করা,
ওদের অসভ্য ঐ চন্দ্র তারা
তোর বেঈমান বুকটাতে বসা;
যেমন ছিল তোর রাজাকার বাবা,
তার মতোই কুকুর হ, ঐ বজ্জাত ভাষায়
আদর খা; আর মাঝে মধ্যে বুটের লাথি,
তোর পশ্চাতে, ওটাও কিন্তু কম
পরাধীনতার আদর না!
মাঝেসাঝেই তো শুনি তোদের কান্না,
পাকি প্রভুদের পায়ের তলায় থাকা
সে স্বাধীনতার জন্য,
ও আমার কুসন্তান জঘন্য!


হ্যাঁ বাবা কুলাঙ্গার; যদি না বোঝো,
যখন খেলছে আপন দেশটি তোমার,
তখন অন্য কারো পক্ষ নেয়া যায় না;
পুরো পৃথিবীর কোনও দেশ তা করে না;
শুধু পারে বাংলাদেশের রাজাকার
আর তার নব্য রাজাকার সন্তানেরা;
এ লজ্জার কোনো সীমা পরিসীমা হয় না;
আমাদের দেশপ্রেমিক বুকে এই স্পর্ধা,
এই কষ্ট সহ্য কি হয়?
তোমাদের অবাঙালী দাস হৃদয়
এসব কখনো বোঝেনি, বুঝবে না;


তোমাদের দরকার ঘাড় ধাক্কা,
আর উপাধি হারাম এর পর জাদা;
বাংলার মাটি মা সবুজ শ্যামল শস্যভূমি,
সবুজ অরণ্য পাহাড় সমুদ্র নদী,
কোনো অধিকার নেই তোমাদের বেজন্মা;


রাজাকার মিসকিন নিমকহারাম তোরা;
অস্তিত্ব তোদের কলুষিত, যার নেই কোনো
ঠিক ঠিকানা; পাকি হানাদারের পা
আর বিষ্ঠা চাটা, তোরা কি ভুলে গেলি?
কোন পশুরা বাংলা মায়ের বুক
করেছিল ঝাঁঝরা! আজ তোদের মস্তিষ্ক
ধোলাই করছে কোন শিক্ষা ? কোন দীক্ষায়
গোপনে তোদের পীরিতি ভালোবাসা?
তোরা কখনোই বাঙালি না;
বিকলাঙ্গ তোদের জন্ম, মানসিকতা;
বিজাতীয় শিক্ষার বিষবৃক্ষ এদেশে তোরা;


বাংলাদেশের পবিত্র স্বাধীনতা,
মুজিব মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর ঐ পতাকা!
এসবের অতুলনীয় ঐশ্বর্য আর
বেহেশতি পবিত্রতা,
তোদের জন্য না, তোদের জন্য না!


যখন নিজের দেশটি খেলবে,
তখন তুই তোর দেশ ছাড়া
আর কারো পক্ষে না;
অন্য কোনো যুক্তি দিবি তো,
খুলে নেবো বেঈমান পিঠের চামড়া;


জার্সি পরেছিস, আর খুলিস না,
চলে যা, চলে যা!
এমন কুসন্তান বাংলাদেশে থাকবে না;
তোদের এই চরম স্পর্ধা,
আমাদের দেশপ্রেমিক বুকটা
অসম্ভব শোক আর ক্রোধে
করে দিলো ছারখার;


বাংলাদেশ ছাড়! নব্য রাজাকার!


(23.11.2021)


(* গতকাল প্রিয় কবি এম.এইচ.শ্রাবন খুব পরিশীলিত দুঃখ ভারাক্রান্ত ক্ষোভে চমৎকার প্রতিবাদ বিদ্রোহে "প্রেতাত্মা" কবিতা লিখেছে। দুঃখিত, আমার দ্বারা তা সম্ভব হলো না! এদেশ উগ্রবাদী ধর্মান্ধ রাজাকারে ছেয়ে গেছে । যার প্রমাণ স্বরূপ নগ্ন প্রদর্শনী ঘটালো আবার ক্রিকেটের মাঠে। এদেশে আবার মুক্তিযুদ্ধ হবে এবং রাজাকার সাফ করা হবে চিরতরে ।)