জীবনানন্দ;
কবি ভুবনের শুদ্ধতম নক্ষত্র, ছন্দ;
জানি স্বর্গই দিয়েছেন বিধাতা তোমায়;
হৃদয় খোঁড়া যন্ত্রণায়, আর নেই লেনদেন,
মুখোমুখি শুধু, বনলতা সেন।


জীবনানন্দ;
তোমার অদ্ভুত আঁধারের অন্ধরা;
প্রেমপ্রীতি ভালোবাসা, ছিঁড়ে ছিঁড়ে
খায় তারা; কুচক্র কল্পে গড়া
পরামর্শ দ্বারা, পৃথিবী আজ আরো,
গভীরতর বন্ধনহারা।


জীবনানন্দ;
তুমিই প্রথম যাদুকর,
এনে দিলে রহস্য, কবিতার ’পর,
রূপকের সাগরে, অমিয়
গদ্য ছন্দ দ্যোতনা, হাত নেড়ে
বিষাদ জাগায়, বনলতা সুরঞ্জনা।


জীবনানন্দ;
বেঁচে থাকার কালে, পেয়েছিলে
খুব কষ্ট; নষ্ট এই পৃথিবীর ভ্রষ্টতার
বেদনায়, লিখেছিলে যেসব অমিয় কবিতা;
আজ তা বাঙালি হৃদয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ।


জীবনানন্দ;
তোমায় পাঠ করবো
আমৃত্যু আজন্মকাল; আশ্রয়
নেবো, বনলতার চোখের নীড়ে,
রূপসী বাংলার ধানসিঁড়ির ভিড়ে,
পার করে দেবো আমার,
একজনমের দুঃখকাল।


(২২.১০.২০২০)
(* শুদ্ধতম কবি, রহস্যের কবি, নির্জনতার কবি'র প্রয়াণ দিবসে, আমার অনন্ত অসীম ভালোবাসার শ্রদ্ধার্ঘ্য।)