“ঐ যে দেখো, সব নয় কিন্তু, কিছু কিছু শূন্য, ওরা যাচ্ছে
নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত, কোনো কোনো শূন্যের পাশে
দাড়িয়ে থাকা অমিয় কবিতাগুলো”


আমার কবিতায় নেই তো সে আলো,
মধ্যরাতের নক্ষত্রদের থেকে আশির্বাদ কখনো -
আসেনা;
তবু কেনো ওরা আসে!
একটুও না হেঁটে আমার শব্দজমিন,
ছুঁড়ে দেয় দূর কিনারা থেকে, শুভেচ্ছার কিছু ব্যবহৃত ফুল;
আমি তো চাই নি!
আমি তো চাই না;


অথচ আমি হৃদয়ের রক্ত দিয়ে,
আলপনা এঁকে দিয়ে আসি, ওদের আলোকিত কবিতার
চৌকোণ আঙ্গিনায়;


আমার কবিতার পাশে শূন্য সংখ্যাটির - শূন্যতাই থাকুক না;
কি আর এসে যাবে, যতদিন না নক্ষত্ররা
ফেরাবে তাদের মুখ, অন্ধকারে যেখানটাতে শুয়ে আছে
আমার কবিতাদের ম্লান মৃতপ্রায় শরীর;


কবিতা কি দেবে আমায় রাজমুকুট, সিংহাসন;
অথবা দেবে কি শক্তি
ঐ মেয়েটির শুভ্র গালে গড়িয়ে পড়া অশ্রুবিন্দু
মুছে দিতে ভীষণ মায়ায়;
অথবা যদি উচ্চারিত হয় আমার কবিতার শব্দ,
জন্মভূমি প্রশান্ত হবে কি সাম্যের সুশীতল ছায়ায়;


শূন্য সংখ্যাটির শূন্যতাই
আজকাল কেনো জানি লাগে খুব ভালো;
পথ ভুল করে যদিও আসে - দেখবে ওরা,
আমার কবিতায় কখনোই জ্বলে না, কোনো নক্ষত্রের আলো।


(১৮.১০.২০২০)