সহস্র রাত্রি যাপনের মাঝে, আমি দেখি আজকাল শুধু ক্ষয়;
চারপাশ থেকে দেয়াল চেপে আসে, অনুভব নয় আর নির্ভয়;
জয়ের পতাকাগুলো চারিদিকে, একে একে লজ্জায় নমিত হয়;
মহাকালীন এ মানব জীবন ক্ষণে ক্ষণে, নিদারুন নিরেট দুঃসময়;
সাধারণ্যের নির্মল অরণ্যে লাগে, সর্বনাশা আগুন! ভয়াল, কঠিন, যন্ত্রণাময়।


সহস্র দিবস যাপন মাঝে, গদ্য শব্দরা অতি প্রসাধনে, সবচেয়ে বেশী বাঙময়;
কবিতারা তিরোহিত নিরোলোকে, শুধু অক্ষম পোড়া নক্ষত্র ছাড়া, তারা আর কিছু নয়;
মানবের চোখে দেখি দুলছে, অসভ্য পর্দা! যেনো তার আড়ালেই, নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়;
আপোসকামীতার সুরে, সুলেল জীবন যায় দূরে সরে, ক্রুর স্বর হাসে অন্ধকারে নিশ্চয়! নিশ্চয়!
মানব জীবন নিপতিত ক্ষণে ক্ষণে, অনুদ্ধারী খাদের অন্ধ আঁধারে, নরকের মতো যন্ত্রণাময়।


সহস্র দিবস যামিনি মাঝে, আরব্য রজনীর দানবেরাই আসে, দাঁতাল শাসনে সদা হাস্যময়;
মানবের ক্রুর হাতে, পরীদের ডানা ভেঙ্গে যেতে থাকে, ধুঁকে ধুঁকে গৃহকোনে তারা, শুধুই দুঃখ সয়;
রাজপথে শোভাযাত্রা নেই, সুরক্ষিত বারুদেই, আছে শুধু অশ্লীল মিছিল, অসভ্য স্লোগানময়;
মানবের চোখে দেখি দুলছে, অলীক নিদ্রা! যেনো নিদ্রা মাঝেই যত গ্লানি আর প্রশ্নরা, প্রশমিত হয়;
সাধারণ্যের নির্মল অরণ্যে হঠাৎ, দেখি হিংস্র কুঠারকালের বিজয়,
                                                  শুরু হয় নির্দয় মৃত্যুর দিন, নীরব তবু নির্মম যন্ত্রণাময়।  


(০৭.১১.২০২০)