মাননীয় সম্রাজ্ঞী,
আমি আপনার পদলেহন দলের প্রতিনিধি বলছি;
শকুন চাতালে কি করে গেলো যুদ্ধ ঋষভটি ?
সে তো পাহারদার, শিং দিয়ে গুঁতোবে, ঠেলবে শুধু সীমান্তে পাহাড়!
খাজনার বাজনা খেয়ে ঘুম দেবে নির্বিকার,
আর রাজ্যের ঘরে এলে জলস্রোত,
                                 বস্তা দিয়ে ব্যস্ত হওয়াই তার সমাচার;
এত নিশ্চিন্ত জীবন, তবু কি করে শিখলো, কে দিলো সুযোগ ?
কার প্রশ্রয়ে তলে তলে যুদ্ধ ঋষভ,
                ভাগ নিলো আমাদের শকুনের ভোগ !?


আর যে সহ্য হয় না, ক্ষেপে উঠলাে বলে পুরো রাজ্য প্রকৃতি;
কি করে সামলাবেন মাননীয় সম্রাজ্ঞী!
              আপনারো কি নেই লজ্জার কোনো মাত্রা ?!
শকুনের বুদ্ধি যুদ্ধ ঋষভকে মানায় না;
তারা সামলাতে পারে না,
অথচ গোঁয়ারের মতো ঘাসের লোভে, দুলিয়ে দিলো রাজ্যপাট;
কেনো দিলেন অধিকার ? যুদ্ধ ঋষভের গাফিলতি,
           ধিক্কারে-চিৎকারে ভরে গেছে সারা বিশ্বের মাঠঘাট;
বিড়াল তপস্বীরা ভেবেই পাচ্ছে না কুল, ধূর্ত শেয়ালেরাও ব্যাকুল,
             যুদ্ধ ঋষভের বিষ্ঠার খাল, কি করে করবে ভরাট !


ঐ দেখুন সম্রাজ্ঞী, আপনার হীরক মসনদ, তাও যেনো কেমন দুলছে!
হয়তো উম্মাদ হয়ে যাচ্ছি হে সম্রাজ্ঞী,
সারা রাজ্যের কৃষ্ণচূড়ায় দেখি লাল লাল ফুটছে আগুন;
প্রতি রাতে আজকাল স্বপ্নে দেখি সম্রাজ্ঞী,
কারা যেনো! কারা যেনো!_ সারি সারি কবর সাজাচ্ছে....!
ভবিতব্য, হে সম্রাজ্ঞী, হয়তো বা আসছে নিদারুণ।


(০৭.০২.২০২১)