"জুলিয়েটনামা ১১"


সারাদিনের ব্যস্ততা সারা হলে পর,
ক্লান্ত দেহ ফেরে যখন আপন তার ঘর;
বাতি নিভিয়ে দিয়ে নির্জনে,
স্থির মোম শিখার মতন একমনে,
তোমাকে নিয়ে সাজাই নীল স্বপ্নের বাসর।


(২৫.১১.১৯৯৭)


----------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ১২"


জুলিয়েট তুমি বললে, বিজয় সরণির মাঠ, যে মাঠে মেলা হয়,
সেই মাঠ ঘেঁষে আমাদের বাড়ী; মাঠে দাঁড়িয়ে যদি ডাকেন,
আমি এসে দাঁড়াবো জানালায়; যে মাত্র বললে তুমি,
রোমিও শব্দটি হঠাৎ হয়ে পড়লো নীড় খোঁজা একটি পাখি;


জুলিয়েট, যদি সত্যি গিয়ে দাঁড়াই, ডেকে উঠি জোরে
সমস্ত দ্বিধা বিপন্নতার আবেগগুলো চুরমার করে,
সত্যি কি দেবে সাড়া, লুটে নেবে না তো তােমাকে কোনো লজ্জা?
শুধু বলেছো কোথায় বাড়ি, তবে যাবার জন্যে তো বললে না;


জুলিয়েট তুমি বললে, সমস্ত আবেগ আপনার মাঝেই থাকুক,
হয়ে শামুক আর ঝিনুক; বলার প্রয়োজন নেই কাউকে,
এমনকি আমাকেও!
জুলিয়েট সমুদ্রে ছুঁড়লে কি বিরূপ নূড়ি, প্রত্যাখ্যানে?
নাকি কষ্টের মাঝে ছুঁড়ে দেবার রমণীয় খেলাটি,
খেলছো তুমি আনমনে?


জুলিয়েট তুমি বললে, আর দরকার নেই কবিতা শোনাবার;
প্রজাপতিরা এসেছিল, পছন্দ হয়েছে ফুল, ঘ্রাণ, সৌষ্ঠব সবকিছু;  
তাই সময় হয়েছে হৃদয় থেকে কবিতাদের বিসর্জন দেবার;


জুলিয়েট, এতটুকু কষ্ট হলো না; নিষ্ঠুর বাক্যগুলো বলে গেলে,
এসব কি তবে ভান? নাকি দেখতে চাও কতটি গভীরে ঘটছে রক্তক্ষরণ?
তোমার আরাধ্য কি তবে অবশেষে আমার অবোধ শিশুর মতো ক্রন্দন?
বলে দাও সরাসরি, ভেঙ্গে দাও নয় দরজা আট কুঠুরি,
ওহে আমার অপূর্ব দয়াশূণ্য রমণী!


(২৮.১১.১৯৯৭)