"জুলিয়েটনামা ১৬"


আমি প্রতিদিন গভীর রাতে, সৃষ্টি করি কথোপকথন,
পরের দিন তোমাকে বলবো বলে;
আঙ্গুল আবদ্ধ নীল ধোঁয়া ওঠে উর্ধ্বমুখী,
তার সাথে ভেসে বেড়ায় আমার সৃষ্টি;
প্রতিদিন সকালে প্রস্তুত হই, সঙ্গে করে নিয়ে যাই;
কিন্তু হায়! কোথায় সুযােগ! মানুষের ভিড় এত উৎসুক,
আমার নিরালা রাতের নিবিড় সব সৃষ্টি, ধ্বংস হয়ে যায়;
তবুও মরিয়া হয়ে, কথামালা থেকে কিছু পঙক্তি,
তোমাকে বলি; ভেঙ্গে যেতে দেখি অনেক ঘনিষ্ঠ অর্থ,
টুকরো মেঘেদের মতো; কখনো বোঝো, কখনো নয়;
নিজেকে তখন বোবা পশুর মতন অসহায় মনে হয়;
তবুও আবার প্রস্তুত হই, ভেঙ্গে পড়া মনটাকে বেঁধে ;
নতুন করে সৃষ্টি করবো কথোপকথন, নীল বর্ণ গভীর রাতে।


(১৮.০২.১৯৯৮)


----------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ১৭"


শপিং কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়ানো ঝালমুড়িওয়ালাকে ধন্যবাদ;
ওর জন্য দেখা হলো জুলিয়েটের সাথে আজ না দেখা হবার দিনে;
জুলিয়েট দাঁড়ালো দু’দন্ড, ঝালমুড়ি কিনবে বলে;
সিদ্ধার্থ দেখে বললো, "ঐ যে জুলিয়েট";
কম্পন, শিহরন সব বয়ে যেতে শুরু করলো শরীরে, থামলো না;
কম্পিত হৃদয়ে এগিয়ে গেলাম আর আমাকে দেখে,
সঙ্গে সঙ্গে সেই হাসি; আমার কৃষ্ণকলির হাসি!
কোনো কথা খুঁজে না পেয়ে বললাম, "ঝালমুড়ি খাওয়াও";
আসলে জুলিয়েট বলতে চেয়েছিলাম,
"চলাে আমার সাথে, এক্ষুনি হারিয়ে যাবো!"
যদি বলতাম, জুলিয়েট তুমি কি যেতে আমার সাথে?


(২৭.০২.১৯৯৮)