"জুলিয়েট ২৫"


[বিকেল ৫.৪৫]
জুলিয়েট প্রস্তুত হও, গুছিয়ে নাও সবকিছু;
ভুলে যাও একটি দীর্ঘশ্বাসের পতন
অফিসের ঐ কোণের নিভৃত ঘরে;
আরো যেখানে,_ হৃদয়ের রক্তক্ষরণ অবিরাম শুধু ঝরে।


[বিকেল ৬.০০]
জুলিয়েট, এবার চলে যাও,
তোমার নিভৃত আলয়ের আঙ্গিনায়;
মা'য়ের সাথে সারাদিন পর দেখা,
টুকরো গল্প, হাসি-কান্না যত কিছু আপন
চলে যাও সেসবের কাছে;
শুধু ভুলে যাও তোমার স্মৃতিদের ধরে,
এখনও একাকী বসে আছে এক বোকা,
যেন তোমার স্মৃতিরা সব, গুচ্ছ গুচ্ছ নীল অপরাজিতা।


(০৪.০৬.১৯৯৮)


---------------------------------------------------------------


"জুলিয়েট ২৬"


জুলিয়েট, হয়তো শেষ হলো আজ,
তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখার পালা;
হয়তো একদিন এই রক্তক্ষরণও হয়ে পড়বে বন্ধ;
তবু তোমাকে বলি, আমি যে এখনও তোমাকে তীব্র ভালোবাসি;
জুলিয়েট বলোতো, এই মানব-মানবীর প্রেম, কে দিলো উপহার?
সব কিছু দিয়ে সে, কেন যে আবার করে সর্বস্ব সংহার!


(০৪.০৬.১৯৯৮)


----------------------------------------------------------------


"জুলিয়েট ২৭"


কিছুক্ষণের উত্তেজিত বাক্য বিনিময়ের পর,
বাসের লোকটি ঘুমিয়ে পড়লো;
আবার ফিরে এলো তোমার মুখ;
এই বাসে করে তোমার কাছেই যাচ্ছি,
যেমন প্রতিদিন যাই;
দেখা মাত্র ফিরিয়ে নেবে তোমার মুখ,
যেন আমি অশ্লীল অস্পৃশ্য কোনো কিছু!
তারপরই কিন্তু আমাদের গোপন অদ্ভুত অভিমানগুলো,
ভেসে বেড়াতে শুরু করবে অফিসের রূদ্ধ চারদেয়াল।


(২৮.০৭.১৯৯৮)