"জুলিয়েটনামা ৩"


দ্বিতীয় ছুটির দিন রাতে,
তোমাকে নিয়ে লিখে চলেছি জুলিয়েট;
এই রাত কেটে গেলেই, আসবে অপূর্ব সকাল;
যে সকাল জানাবে আমাকে,_ আজ দেখা হবে,
আজ দেখা হবে তোমার সাথে,_ মিস জুলিয়েট;


মনের গহীনে গুঞ্জন করবে যত কবিতার শব্দের মৌ;
আমি অধীর পৌঁছে যাবো, বসে থাকবো, তাকিয়ে থাকবো,
দরজার দিকে; যে তোরণ পথে তুমি ধীর পায়ে আসবে,
ঘুম ভাঙ্গা স্নিগ্ধ সকালের গাম্ভীর্যতার সৌন্দর্যে;


এক সময় তুমি আসবে আর নির্ঘাত জানবে,
একটি বোকা বসে আছে পৃথিবীর সব অধীরতা
আর অস্থিরতাকে, শামুকের মতো আড়াল করে অস্তিত্বে;
জেনেও এতটুকু প্রশ্রয়ের হাসিও তুমি হাসবে না, আমি জানি;


হয়তো যদি ভালো থাকে মন, ঠোঁট টিপে হেসে,
অভাগাকে দিয়ে দিতে পারো তুমি অকস্মাৎ,_ সামান্য করুণা;
যে পরম প্রাপ্তিতে কাটবে অস্থিরতা, উজ্জ্বল হবে দিনটি,
মুছে দেবে মলিনতা যত জীবনের,_ দৈব সুন্দর সে মুহূর্তটি।


(০৮.১১.১৯৯৭)


---------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ৪"


জুলিয়েট, জুলিয়েট,_ আমার জুলিয়েট;
তুমি শুনতে পাও কি আমার আর্তি,
দিশেহারা অন্ধকার হৃদয় অনিকেত!
দেখেও দেখছো না যে আমার হৃদয়টি;


অস্থিরতা আমার অধীরতা,
ছুঁয়ে যেতে পারছে কি তোমার মন?
বলো না আমার কৃষ্ণকলি,
ব্যক্ত করো তুমি স্পষ্ট,_ হে আমার প্রিয়জন;


চুপ করে থেকো না জুলিয়েট, কিছু একটা বলো?
বেদনার এই নীল নিমজ্জনে,
জ্বেলে দাও তুমি যে কোনাে রূপের আলো;
সহ্য করি কি করে, এসো তো আমার সাথে!
নয়তো ভেঙ্গে দাও এই পথ, কোনো দুর্দান্ত আঘাতে;
শেষ হোক সবকিছু, আসুক বিপন্নতার সুখ তাড়াতাড়ি,
চুপ করে থাকবে না, চাইছি আমি করুণা, হে দয়াশূন্য নারী।


(০৮.১১.১৯৯৭)