"জুলিয়েটনামা ৩৭"


জুলিয়েট,
শুনতে পাই আজকাল তুমি হয়ে গেছো
বড় বেশী চুপচাপ,_ নাকি টুপ টাপ
বৃষ্টি ঝরে হৃদয়ের ঘরে,
নির্জন নীল স্বপ্নের ভেতরে?
কোনো যুবক কি সেখানে হেঁটে যায়?
অবিরত অবেলায়,_ এক রূপ বেদনাহত
বৃষ্টির সে পথে;
ভালো লাগে আজো ভাবতে,_ ঘুমহীন
মধ্যরাতের অভিমানে;
তাই ভেবে চলি আর বোকা সব প্রলাপেরা,
ভেসে যায় আঙ্গুল আর ঠোঁট থেকে মেঘেদের সাথে।


(২৩.১২.১৯৯৮)


----------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ৩৮"


জুলিয়েট, তুমি নাকি ছেড়ে চলে গেছাে
সেই দপ্তরের চারদেয়াল?, যেখানে আমার বেদনাগুলো
ঘুরে বেড়াতো তোমাকে নিয়ে, আর করতে চাইতো স্বপ্নাক্রান্ত;
সৃষ্টি হতো কত অপাংক্তেয় কবিতা আর গানের একান্ত কলি;
কতদিন শোনাতে চেয়েছি
সেসব হৃদয় রক্তিম সুন্দর দিনগুলোর মাঝে,
বলতে চেয়েছি কত কথা; আর আজ এই হতভাগা
স্মৃতির দুয়ারে বসে, তার হৃদয়ের বৃষ্টি কিছুতেই থামাতে পারছে না;
হয়তো অবশেষে শুরু হলো চিরতরে না দেখা হবার দিন;
এসে গেলো ক্ষণ বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাবার;
হয়তো কোনো রোদেলা দুপুরে একাকী মুহূর্তে,
মনে পড়ে যাবে অথবা পড়বে না আর কোনদিন,_ দু'জনেরই;
তবু আশির্বাদ ছুঁড়ে দিলাম গগণের অধিকারীর কাছে,
"জীবনটি তোমার সুন্দর হোক,_ প্রেয়সীনি জুলিয়েট"।


(০১.০৩.১৯৯৯)


--------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ৩৯"


জুলিয়েট, কোথায় চলেছো আজ, কোন সে অজানায়?
সেখানে কি দ্বিধাহীন স্বপ্ন দেখা যায়? অথবা মানুষের বেদনাগুলো
দুঃখগুলো কি নিঃশেষ হয়, অলীক কোন সুখেরই ছোঁয়ায়?
কেউ আবার দুঃখ দেবে না তো তােমাকে?
জুলিয়েট, যা কিছু একটা বলে যাও আমাকে,
যেন যে ক'টি দিন এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারি
নিশ্চিন্তে এই জেনে, "তুমি যাচ্ছো যেখানে,
পাবে কষ্টের চেয়ে সুখ অনেক বেশী;
ঘৃণার বদলে ভালোবাসায়,_ স্বপ্ন, কবিতা, নক্ষত্র ভরা
রাতগুলো, সেখানে দুঃখহীন কেটে যায়।"


(০১.০৩.১৯৯৯)