"জুলিয়েটনামা ৪০"


জুলিয়েট তোমাকে যারা চেনে,
তাদের সাথে দেখা হয় মাঝে মাঝে;
তোমারই প্রশংসা তাদের মুখে;
তবে কখনো দেখি লোভ!,_ খেলা করে ওদের চোখে;
সত্যি করে বলোতো,
আমার চোখে দেখেছিলে কি কখনো,_ লোভের ছায়া?
তাহলে কেন আমি দেখি অন্যের চোখে, সে কি তোমার প্রশ্রয়?
ঐ লোভ তুমি কখনো জাগাতে পারোনি আমার মাঝে;
আর পারোনি বলেই, ওরা পেয়েছিল তোমার রমণীয় সঙ্গ,
আর আমি ছিলাম, রাতের গভীরে জেগে থাকা
রাত-পাখিদের মতোই নিঃসঙ্গ।


(১০.০৩.১৯৯৯)


---------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ৪১"


জুলিয়েট, ভাবতে ভালো লাগে;
যেখানে এখন আমি নেই, তুমিও থাকতে পারোনি সেখানে;
হয়তোবা অন্য কোনো কারণে তুমি করেছিলে প্রস্থান,
তবু ভাবতে ভালো লাগে সে শূন্যস্থান_টি তৈরী করেছি আমি;
আমার শূন্যতার হাহাকারে, তোমার হৃদয়ের প্রান্তর
হয়ে উঠেছিল হয়তো নীল যন্ত্রণাময়;
তাই তুমি পালালে কিন্তু একবারও খুঁজে নিতে চাইলে না আমাকে;
হয়তো বিশ্বাসের মতো অমূল্য মানবিক অনুভবটি
রূপকথার ঐন্দ্রজালিক আয়নার মতো ভেঙ্গে টুকরো করেছি বলে,
তুমি হারিয়ে গেলে একেবারেই তোমার মতো করে,
যেন অভিমানী এক রাজকন্যা,_ লুকোলো নিজেকে
জীবনের অনুগমনযোগ্য কোনো গহীন অরণ্য নীড়ে।


(১৮.০৪.১৯৯৯)


---------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ৪২"


: জুলিয়েট তোমাকে বলেছিলাম, তোমাকে নিয়ে লিখেছিলাম অনেকগুলো কবিতা আর তুমি বলেছিলে, "ওসব কবিতা আমার শোনবার দরকার নেই"; আসলে কবিতার প্রকৃত সংখ্যাটি ছিল চল্লিশ; ওগুলো শুধু কবিতাই নয় জুলিয়েট, ওগুলো আমার হৃদয়ের চল্লিশটি বড় বড় ফোঁটায় বিশুদ্ধ রক্তক্ষরণ!;


: মাত্র চল্লিশ ফোঁটা রক্তক্ষরণ? এমনই কৃপণ? কত জন বইয়ে দিলো রক্তনদী ইতিহাসজুড়ে! গুমরে কেঁদে যায় আজও কত স্রোতস্বীনি! আর আপনি, এই সামান্যে প্রমাণ করে দিতে চান, আপনার হৃদয়টি কতো আত্মত্যাগে মহীয়ান!;_ ভুলে যান, মার্শালদা' ভুলে যান;


: জুলিয়েট তুমি অবলীলায় এত নিষ্ঠুর, এত কঠিন আঘাত করো কেমন করে?


: মার্শালদা' আসলে আপনি একজন আপাদমস্তক নির্বোধ!; আজও আপনার শেখা হলো না পার্থক্য, "প্রেম পদ্মরাগ, অপেক্ষা, প্রেমিকার পরাহত প্রার্থনা আর সব কিছু শেষে আসে যে,_ রিক্ত হৃদয়ের প্রতিশোধ"।


(২১.০৫.২০০০)