"জুলিয়েটনামা ৭"


আজ আবার বৃহষ্পতিবার;
তবু তুমি বোঝো না, জানো দু'টো দিন তোমাকে দেখবো না;
তবু তোমার অপূর্ব ঠোঁটে ফোটে না বিদায় সম্ভাষণ!
অথবা ঠোঁট টিপে একটু মিষ্টি হাসি,
ভ্রুপল্লবে বয়ে যায় না কোনো লাস্যের স্রোত, চলে যাবার আগে;


এ হতভাগা তৃষ্ণার্ত বকের মতো জলমগ্ন থাকে,
মনের ভেতর বেদনার পিন্ডরা উঠে এসে করতে চায় শ্বাসরোধ,
অভিমানে; তবু সব উপেক্ষা করে, হে দয়াশূন্য নারী,
দু'পায়ে নৃত্যের মতো উচ্ছলতা নিয়ে, বেরিয়ে যাও ঐ দরজা দিয়ে;
তোমার হৃদয়ে কি কোনো প্রকোষ্ঠ নেই, বেদনা অথবা করুণার?
কি করে কাটবে দুটো দিন এ হতভাগা'র?
বিশ্রাম মাঝে বেদনার সেই অনন্ত নীল?


আহ! বৃহষ্পতিবার,
যেন শুধু একটি দিন,_ হৃৎপিন্ড ছেঁড়া নিষ্ঠুরতার!


(১৩.১১.১৯৯৭)


---------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ৮"


দিনের শুরুতে, আমি উপেক্ষা করি ঘড়ির কাঁটা;
প্রয়োজন হয় না; তুমি যে থাকো আমার দৃষ্টিগোচরে,
দেখি যে সুন্দর ঐ মুখশ্রী সারাটি-দিন ধরে;
সুতরাং সময়কে তোঁয়াজ না করে, আমি ডুব দেই ব্যস্ততার সমুদ্রে;


ব্যস্ততা আর অবসরের ফাঁকে ফাঁকে,
কথা হয় ছোট ছোট,_ প্রয়োজনের; এবং সে সুযোগে সবার অলক্ষ্যে,
তাড়াহুড়োয় হতে থাকে দু'টি হৃদয়ের অর্ধসমাপ্ত কিছু আলাপন;


এভাবেই হঠাৎ দেখি, দুপুর গড়িয়ে চলে গেছে বিকেলে!
আর সে বিকেলের আলো বলে, জুলিয়েট এখন চলে যাবে;
ইচ্ছে করে তখন,
ঘড়ি কাঁটার দিকে হাঁটু ভেঙ্গে নতজানু মিনতিতে
বলি, সে যুদ্ধরত সম্রাটের মতো, তুমি স্থির হও ঘড়ির কাঁটা!
জুলিয়েট নামের আসন্ন প্রেমের বিজয়টি, তুমি কেড়ে নিও না।


(১৩.১১.১৯৯৭)