(১)


"ভাগেন"!
যদিও তার আরো একটি
সুমিষ্ট শব্দ আঘাতে,
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সেদিন
এ শহরের এক বিষন্ণ কুকুরের সাথে,
ব্যাকুল রাত্রির ফুটপাতে ।


আমি কী নই অশ্বরোহী মধ্যরাতের ?
ছিল ধরা এক প্রীতিময় অনাদি চিঠি
যার হাতে,
স্খলিত হয়ে পড়ে গেলো
দুঃখময় এক অরূপ নদীর দুর্মর স্রোতে;
লোকজ কাহিনীর মতন সুখ ছিল,
তবে খানিক বেদনাও যে ছিল মিশে তাতে,
প্রমিত রমণীটির মধুর সে "ভাগেন" শব্দ দ্যোতনার আঘাতে !


(২)


কাঙালটি এখনো বিষন্ণ কুকুরটির সাথেই
কথা বলে চলেছে;
অথচ সে যে খুব কথা বলতে চাইছে
পাখিদের রাজ্যের দেবীরাণী বিদুষী অনিন্দিতার সাথেই;
তার বুকে ঝর্ণা দেশের পাথরের মতো কথারা জমে আছে,
ওদের ওপর দিয়ে নির্ঝরের সফেনের মতো
বয়েই চলেছে শুভ্র অভিমান;
কী এত কাজ দেবীর? কোথায় সে? পাখিদের রাজ্যেই,
নাকি সে গিয়েছে নিমন্ত্রণে সোলেমান বাদশার মতো
পাখিদের ভাষা জানা কোনো সম্রাটের রাজ্যে ?
তার অভিজাত এবং চার-দিগন্তব্যাপী বন্ধু সাম্রাজ্যে
একটুখানি স্থানও কী জুটবে না এ কাঙালের ?


এ অনুরাগের কাঙাল কী তবে সুনীলের কবিতা হবে,
"ভিখারীর মতন ফটকে দাঁড়িয়ে দেখবে
সুবর্ণ ফর্সা মানুষের কত রকম আমোদে হেসে ওঠা
দেবীরাণী অনিন্দিতা'র হরিৎ প্রাসাদের বিহঙ্গ উৎসব?”


হে মিষ্টি বিদুষী! একটিবার বিষন্ণ এ মেদিনী শিহরিত করে
জাগাও অনুকম্পা, ফুটুক অনুভব।


(২৬.০৪.২০২২)
(২৮.০৪.২০২২)