কি যেনো ভুল হয়েছিলো? ওহ! কবিতার ছুরি হাতে নেই নি,
নিয়েছি ভুলে কবিতার ফুল; নির্মোহ আর উপেক্ষার সাধুৃমন্ত্রে,
কবিতার শরীর গড়েছি; বিষ ধুতরা কেন বিছাই নি, হলো ভুল।


কাকেদের ঠোকরে জীবন, যখন নিঃশ্বাস বন্ধ হয় আমার,
নারীর স্নেহ চেয়েছি নিষ্পাপ, সেটাই হলো যেন পাপ;
বন্ধু ভেবেছি যাদের, ডেকেছি রক্ষা করো আমারে,
ওরে বাবা মুখ ফিরিয়ে বলে, নিজে নিজেই মরো না বাপ!
হঠকারী পাহাড় উঠিয়েছি কবিতার, কাউকে উঠতে বলিনি আমি,
তবুও চড়বেই চড়বে, ভিনভুমের বাহাদুর, ছড়াবেই তার অভিশাপ;


লাঠি দিয়ে ডোবাবে ঘাঠে, গলায় পড়াবে ফাঁস,
ফাঁস কেনো বন্ধুসর্প, একেবারে ফাঁসিতেই চড়াও না,
দেখাও না, হে মহাকবি হে তালপাতা সেপাই সন্ত্রাস!
ফুঁড়ে দেইনি রাষ্ট্রযন্ত্রের পেট, তাই আমি অধম এক কাপুরুষ
দিশেহারা সে ক্রান্তিকালে, দেখা বারণ, মরুক! চুপ একদম, শুসসস্!


ভালোবাসি শীতের সন্ধ্যা, না না কিসের শীত
গাত্র পুড়িয়ে ছাই হতে হবে, মরুর সূর্য প্রখরে;
প্রেমিকার চোখ দিতে হবে ঝলসিয়ে,
আছাড় দিয়ে ভবলীলা সাঙ্গ সমুদ্রের বুকে;
তবেই না, সাচ্চা কবি বলা হবে তোমাকে;


অভিমানে গ্রামের মুয়াজ্জিন বন্ধ করে দিলো দ্বার
নবীর শিক্ষায় দ্বারে টোকা দিতেই আমি, মেরুদন্ডহীন চামার;
নিয়মকানুন না পড়েই হে তরুন, যখন যা ইচ্ছে তাই করবে?
প্রিয় প্রিয় বলে বোঝানোর পরও, আমাকেই গোলাম বানাবে?


প্রগতিশীল যৌগ পৃথিবীর সাম্য, করে বয়কট
মরুসাহারার সূর্য জ্বালাতে হবে তীব্র কটকট!


তুচ্ছ এক কবি আমি, নিজেকে তাই ভাবি,
আলোর অক্ষরে চিঠি, দেখি খুলে পাতার ভাঁজ;
“তোর দিকে যারা ছোঁড়ে বিষমাখা তীর সবি,
তুই-ই যে কবি তাদের তরে, কবিতার দেবরাজ”;

কি যেনো ভুল হয়েছিলো? অশ্লীল ছুরি নাকি শুভ্র ফুল?
ভুলে গেছি, আবার একটু বলো? কোনটা ছিলো আমার ভুল?


(২২.০৬.২০২০)