কিছুই চিনিনি ;
চিনেছি শুধু গোলাপ ও রজনীগন্ধা !
মনে পড়ে শৈশবের ভোরের বাগানে
ঝরে পড়ে থাকতো হয়তো শিউলি ;
কৈশোরের দেয়াল বেয়ে উঠতো
বুগেন ভিলিয়া ;
ভার্সিটির মাথা জুড়ে থাকতো কৃষ্ণচূড়া;


অনেক পুষ্পের চেহারা চিনি
নাম ধরে ডাকতে পারি না;
চিনি না গন্ধরাজ অথবা জেসমিন,
তবে শহুরে জীবনে অজস্রবার
ছড়িয়েছে নারীর শরীর
এরকম কত না ফুলের কৃত্রিম গন্ধ,
তবুও অনেকেই
রমণীয় সুগন্ধি ফুল হয়ে ফুটতে পারেনি;


দু'একবার মুখোমুখি হয়েছি সূর্যমুখী'র,
বলদা গার্ডেনের রবির কবিতা
চিনি না আজো ঐ ক্যামেলিয়া !
সেদিন আঙুল তুলে দেখালো এক নারী
অলকানন্দা ;
আর দেখিয়েছিল কোনো নারী বহু আগে  
নীল অপরাজিতা ;


আর এখন কোনো নারী প্রকৃতির এক
দেবী কন্যার মতো বলে যায়,
কত অজানা ফুল আর বৃক্ষের কথা.....


সে সুকন্যার প্রভাবেই
একদিন দেখা হয়ে গেলো
কলমি ফুলের সাথে একা একা;


সেদিনের ঘুরে বেড়ানো বিকেলে
সেই বাঙালি অনন্যা কন্যা  
পরেছিল তার খোপা আর হাতে,
কী শুভ্র সুন্দর ছোট ছোট টগর মালা;


অথচ ফুল দিয়ে সেই নারীর
স্নিগ্ধ রূপটিতেই মুগ্ধ থেকেছিলাম,
ফুলটি কি তা আর জিজ্ঞেস হয়নি করা;
নারীকেই যেন মানায়
ফুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া ;
তবে আশ্চর্য হলো, নারীকে মনে থাকে,
ফুলকে বৃক্ষকে মনে থাকে না !


তবে কী আমি কোনো প্রকারে নিঃস্ব?
প্রকৃতির কোনো মানদন্ডে অযোগ্য,
অজ্ঞ অথবা নির্মম ?
ফুলকে কি তবে
জীবনের জন্য ধর্তব্য ধরি না?
অথচ ফুলের মত
কোনো কোমল নারীকে
একবার চেনা হলে
               কখনো ভুলে যাই না ।


(০৪.১০.২০২২)